নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই বৃদ্ধ। পরিবারের অভিযোগ, “SIR আতঙ্ক”-ই কেড়ে নিল ক্ষীতীশবাবুর প্রাণ। পরিবারের সদস্যদের কথায়, গত কয়েকদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। বারবার বলতেন, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আমার নাম নেই, তাহলে কি আমাকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে?” এই আতঙ্কই নাকি তাঁকে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের কামরায় কাকাশ্বশুরের এ কী ভয়াবহ রূপ! নিজের সিটে বসতে না পারায় জামাইকে ৫৪ কোপ মেরে খুন
প্রায় তিন দশক আগে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন ক্ষীতীশ মজুমদার। ভোটার তালিকায় নাম ছিল, বহুবার ভোটও দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আশপাশের মানুষজনের মুখে শোনা কথাই তাঁর মনে গভীর ভয় ঢুকিয়ে দেয়, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, তারা নাকি বাদ পড়বেন SIR তালিকা থেকে।” পরিবারের দাবি, সেই ভয় থেকেই ক্ষীতীশবাবু নিজের জীবন শেষ করে দেন। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
মৃতের নাতনি হিরুবালা মজুমদার জানান, “এই SIR নিয়ে চারিদিকে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, সেটাই দাদুর মৃত্যুর কারণ। আমরা চাই এই আইন বন্ধ হোক। এতে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। দাদুর নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে ছিল না, তাই উনি খুব ভয় পেয়েছিলেন। বারবার বলতেন, যদি তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে কোথায় যাবেন? সেই ভয়েই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।”
হিরুবালার আরও অভিযোগ, “আমরাও আতঙ্কে আছি। আরও অনেকেই হয়তো এরকম ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যেন এই নিয়মটা না থাকে, আমরা তারই প্রতিবাদ জানাই।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষীতীশবাবু বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন। বহু বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। ইলামবাজার ও মেদিনীপুর দু’জায়গাতেই থাকতেন তিনি। প্রশাসনের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।






