৬-১২ মে দেরাদুনে ওই প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার এক প্রতিযোগী মুখুৎদিনোভা লুলিয়া প্রথম ও কাজাখস্তানের প্রতিযোগী গ্রাস রেজিনা তৃতীয় স্থান পেয়েছে। স্নেহা ৭৬ কেজি জুনিয়র বিভাগে ৩টি ইভেন্টে রুপো ও একটিতে ব্রোঞ্জ পেয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। বালির ঘোষপাড়ার বাসিন্দা স্নেহার সাফল্যের পিছনে রয়েছে তার অদম্য ইচ্ছেশক্তি, কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হলেও নিজের মনের জোর আর জেতার জেদ বজায় রেখেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেরাদুনে পৌঁছয় স্নেহা। এর আগেও রাজ্যস্তরে ও জাতীয় ক্ষেত্রে বহু প্রতিযোগিতার মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেছে বালির এই মেয়ে। ছোট থেকেই বালি দেওয়ানগাজী রোডের বালি হেলথ সেন্টারে প্রশিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেছে স্নেহা। ২০২৪-এ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপ-এ প্রথম স্থান অর্জন করেছিল স্নেহা |
advertisement
এই বছরেই নেতাজি সুভাষ স্টেট গেমসে রাজ্যে ৭৬ কেজি জুনিয়র বিভাগে প্রথম হয়েছে|স্নেহার পরিবার আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল। বাবা উত্তম ঘরামি নিজের ঠেলা গাড়িতে নানা জায়গায় ঘুরে ফল বিক্রি করেন। বছরভর মেয়ের প্রশিক্ষণের খরচ সামলাতেই হিমশিম খেয়ে যান বাবা-মা। তারই মধ্যে নিজের উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে স্নেহা এখন হুগলির শ্রীরামপুর কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াশোনাও করছে।
আরও পড়ুন: দাঁতে আঁশ ছাড়িয়ে বুনছেন মাদুর! তৈরি হচ্ছে আরও জিনিস, জানেন এই গ্রামের অন্দরের গল্প?
এই সাফল্যর পিছনে বালি হেলথ সেন্টার ক্লাবের প্রশিক্ষক স্যার জয়ন্ত ভট্টাচার্যর অবদান অনস্বীকার্য বলে জানায় স্নেহা। তার পাশাপাশি ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট পাওয়ার লিফটিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, পরিবারের অবদান ছাড়া আজ স্নেহা এই জায়গায় পৌঁছতে পারত না বলে জানায় স্নেহা। পাশাপাশি হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র সহ স্নেহার আর্থিক বাধার কথা জেনে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁদের অবদানের কথাও বলতে ভোলেনি স্নেহা|
আরও পড়ুন: হাতে সময় খুব কম কিন্তু…! দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ঝেঁপে নামবে এক্ষুণি, সঙ্গে ঝড়-বজ্রপাত..
ঘরে অভাব সত্ত্বেও স্নেহার পরিবারও তার সঙ্গে থেকেছে সব সময়ে| ধীরে ধীরে জেলা হয়ে রাজ্য, জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরের নানা প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে স্নেহা| স্নেহার এই সাফল্যে গর্বিত স্নেহার মা স্মৃতি ঘরানি | তাঁর মেয়ের এই জয়ের পিছনে স্নেহার প্রশিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য সহ ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট পাওয়ার লিফটিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সহ যারা আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন |