জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ইছাপুরের মজুমদার পাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে ৩ নম্বর বাপুজি কলোনির দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তায় একা পেয়ে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় গোপালবাবুর উপরে। খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি চালিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এ বার জগদ্দল ও দত্তপুকুরের দুষ্কৃতীদের ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করল সিবিআই
advertisement
স্থানীয়দের দাবি, পাঁচ থেকে ছয়জন দুষ্কৃতী এসে গোপালবাবুর উপরে হামলা চালায়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর পরই দুটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ গৃহবধূর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার
এই ঘটনায় সরাসরি ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক৷ তাঁর অভিযোগ, 'তিন দিন আগে অর্জুন সিং-এর ঘনিষ্ঠ বিজয় মুখোপাধ্যায়ের কথা কাটাকাটি হয়৷ অর্জুন সিং ক্রিমিনাল পাঠিয়ে বাড়ির সামনে এরকম একজন শান্ত মানুষকে খুন করল৷ আশা করব পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করবে৷' অর্জুন সিং-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী৷
হত্যাকাণ্ডের জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, তৃণমূলের দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন গোপাল মজুমদার৷
Arun Ghosh