যেদিনে ওড়িশার বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়ে, সেদিন সকালে এমন এক সাহসিকতার নজির গড়েছিলেন এই লেডি কনস্টেবল। সাহসিকতার ফলস্বরূপ তিনি পেলেন পুরস্কার। সাহসিকতার নজির গড়ে রেলমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করলে খড়গপুর আরপিএফের লেডি কনস্টেবল। নিজের প্রাণকে বাজি রেখে বাঁচিয়েছিলেন এক যুবকের জীবন। সেই বীরত্ব দেখানো এবং দায়িত্ব পালনের জন্য পুরস্কার পেলেন কিমিদি সুমথি। তিনি RPF-এর লেডি কনস্টেবল। এক জনের জীবন রক্ষা করার জন্য ‘শৌর্য পদক’ পেলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : ১০ লক্ষ টাকার ড্রোন পাওয়া যাবে মাত্র ২ লক্ষ টাকায়, সেখানেও আবার লোন! একবার কিনলে ঘরে বসে বসে সারাবছর আয়
তাঁর হাতে ওই পদক তুলে দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার গুজরাটের ভালসাদ আরপিএফ ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ওই পুরস্কার তুলে দেন রেলমন্ত্রী। খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম ললিতমোহন পাণ্ডে বলেন, ‘এই পুরস্কার শুধু আরপিএফ-এর কাছেই নয়, খড়্গপুর ডিভিশনের কাছেও সম্মানের ও গর্বের। যে ভাবে নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাহসিকতার সঙ্গে কিমিদি সুমথি এক জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, সেই জন্য তাঁকে আমরা কুর্নিশ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন : ৮৬ বছরের শরীরে ১৮ বছরের মনোবল, ব্রতচারী শিবিরের নক্ষত্র! শূন্যে রনপা হাঁটলেন মদনমোহন
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুন সন্ধ্যাতেই খড়্গপুর ডিভিশনের অধীন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহনাগা বাজার স্টেশনের কাছে ঘটে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। তাতে মৃত্যু হয় ২৮৯ জনের। সেই দিন ভোরেই পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা স্টেশনে যুবকের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন ওই কনস্টেবল। খড়্গপুর ডিভিশনের মেচেদা স্টেশনে কর্মরত ছিলেন কিমিদি। সেখানেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে এক জনের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন তিনি। ওই দিন ভোর ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন এক যুবক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রায় ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম দেখে চলন্ত ট্রেনের সামনে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তা নজরে পড়ে কিমিদি সুমথির। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম থেকে সোজা ওই লাইনে ঝাঁপ দিয়ে, যুবককে উদ্ধার করেন। সেই ঘটনার প্রায় দু’বছর পর সাহসিকতার জন্য ‘শৌর্য পদক’ পেলেন ওই লেডি কনস্টেবল। একজন মহিলার দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যপরায়ণাতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রেলকর্তা থেকে সাধারণ মানুষ সকলে।