স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা অ্যানাস্থেটিস্ট অর্থাৎ সিজারের জন্য অজ্ঞানের ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে মাত্র সপ্তাহে তিন দিন থাকে অজ্ঞানের ডাক্তার। সেই কারণে বাকি চার দিন হাসপাতালে কোনভাবেই সিজার করা সম্ভব হয় না।
আরও পড়ুন – Rare Bird: বিশাল ডানা, এলাকায় কেউ কোনওদিন দেখেনি এইরকম পাখি, ও কে এসে বসল চালে
advertisement
এই চার দিন কোন জরুরি পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের জন্য কোন প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। অথবা একপ্রকার জোড়পূর্বক ভাবেই পরিবারের তরফে সই করে ভর্তি নেওয়া হয়, যদি রোগীর কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে পরিবার দায়ী। অন্যদিকে ব্যথা নিয়ে যদি কোন গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে আসেন এবং তৎক্ষণাৎ তার যদি সিজারের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেও অজ্ঞানের ডাক্তার না থাকার কারণে নিরুপায় হয়ে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রশ্ন উঠছে এই সময়ের মধ্যে যদি মা এবং বাচ্চার প্রাণহানি ঘটে তাহলে এই দায়ভার কে নেবে? শুধু তাই নয় হবু সুপার স্পেশালিটি এই হাসপাতালে বর্তমানে কর্মী সংকটে অপরিষ্কার হাসপাতাল এবং রোগী পরিষেবাও যথেষ্ট ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে, অন্যদিকে মেডিসিন এবং শিশু স্পেশাল আউটডোর বন্ধ রয়েছে, আরো বেশ কয়েকটি স্পেশাল আউটডোর বন্ধ হতে পারে বলে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে ।
অজ্ঞানের ডাক্তারের অভাব প্রসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, পশ্চিমবাংলার মধ্যে সবথেকে সিজার বেশি হয় নদীয়া জেলায়। সে ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি যাতে গর্ভবতী মায়েরা নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা প্রসব করেন। এবং আমরা অনেকটা সাফল্য পেয়েছি এই প্রচেষ্টায়। তবে শান্তিপুর হাসপাতালে বর্তমানে একটিমাত্র অ্যানাস্থেটিস্ট রয়েছে এবং চারটি প্রসূতি চিকিৎসক রয়েছে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, এ বিষয়টা আমার জানা ছিল না। তবে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ। আমি কথা বলে চেষ্টা করব যাতে এই সমস্যার সমাধান ঘটে।অন্যদিকে সাধারণ মানুষও চাইছেন যাতে অবিলম্বে প্রতিদিন অ্যানাস্থেটিস্ট থাকে স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সেই ব্যবস্থা করা হোক। না হলে তারা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
Mainak Debnath