বাঁকুড়া জেলার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর পৌর শহরে বিভিন্ন রকমের শাঁখা তৈরি হচ্ছে। আগের থেকে এখন অনেকটাই উন্নত মানের হয়েছে এই শাঁখা। এখন শাঁখার উপর বিভিন্ন রকমের ডিজাইন বা নকশা ফুটিয়ে তুলছেন শঙ্খ শিল্পীরা। নিপুণ সূক্ষ্ম হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে এই শাঁখা। আগে এতটা ডিজাইন করা শাঁখা পাওয়া যেত না। কারণ কারিগরদের এক একটা শাঁখা তৈরির জন্য অনেকটা সময় দিতে হত। তবে এখন প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন রকম মেশিন সহযোগিতা করছে এই শঙ্খ শিল্পীদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বালুচরী শাড়িতে বিশেষ চমক, দূর্গাপুজো স্পেশ্যাল লণ্ঠন ডিজাইন, কেন দাম আকাশ ছোঁয়া?
একটা শঙ্খ থেকে একটা শাঁখা তৈরির জন্য পাঁচজন কারিগর প্রয়োজন। প্রথমে একটি শঙ্খকে ভেঙে সাইজ করা হয়। তারপর সেটি থেকে নির্দিষ্ট আকারের পিস বের করা হয়। এরপর সেটাকে পরিষ্কার করা হয়। তারপর সেই শাঁখার উপর বিভিন্ন রকমের ডিজাইন এঁকে তার উপর মেশিন দিয়ে শুরু হয় খোদাই করার কাজ। আগে তো শাখার উপর সাধারণ নকশার কাজ করা হত। এখন আবার এই শাঁখার উপরে সোনা, রুপোর কাজ হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিষ্ণুপুর শহরে বিশ্বজিৎ নন্দীর মত বহু শঙ্খশিল্পী রয়েছেন। সকলেই এখন ভাল কাজ করছেন। তারা নিজেদের কাজেই সারাক্ষণ ব্যস্ত। এই শাঁখার এখন ভাল চাহিদা রয়েছে। কলকাতা থেকে নিয়ে আসতে হয় এই শঙ্খগুলিকে। তারপর এখান থেকেই তৈরি হয় বিভিন্ন রকমের শাঁখার ডিজাইন। যা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটকরা আসেন। তাঁরাও এখান থেকে এই শাঁখা সংগ্রহ করেন। আপনিও চাইলে নিয়ে আসতে পারেন এই সুন্দর শাঁখাগুলি।