পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাস আগে ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয় বসবাসের নাম করে। কিন্তু গোপনে সেখানে চলছিল অস্ত্র কারবার। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই ব্যক্তি। ধৃতদের মধ্যে একজন ফিরোজ গাজী, যিনি পুরনো একটি খুনের মামলার আসামী বলেও জানা গেছে। অপর অভিযুক্তের নাম ভবেন পাল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতমূলক কাজে ব্যবহার করার জন্যই তৈরি হচ্ছিল এইসব অস্ত্র। তবে এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- চোখ ফেরানো দায়! কিন্তু বার্নপুরের এই মণ্ডপে প্লাস্টিকের দেখা পাবেন না
ধৃতদের মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে, যাতে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো চক্রকে উন্মোচিত করা যায়। এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন জানিয়েছেন, “যে সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট—এখানে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। কারা এর সঙ্গে জড়িত এবং কোন উদ্দেশে এই অস্ত্র তৈরি হচ্ছিল, তা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হবে।”
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই ভেবে যে বসবাসের জন্য নেওয়া একটি ভাড়া বাড়ি কীভাবে রাতারাতি অবৈধ অস্ত্র কারখানায় পরিণত হল। পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।