বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার সচেতনতায় বিগত প্রায় কুড়ি বছর ধরে পরিবেশ মেলার আয়োজন করে আসছে মধ্যমগ্রাম পৌরসভা। এরই বৃহত্তর ভাবনা হিসেবে এবার মধ্যমগ্রামে শহরেও কলকাতার মত ‘ইকোপার্ক’ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষে ডিসেম্বরেই মধ্যমগ্রামের ইকোপার্কে সাধারণ মানুষজন শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের এই অংশে ব্যথা হলেই সাবধান…‘প্রাণের ঝুঁকি’ হতে পারে! অবহেলা করলেই সর্বনাশ
প্রসঙ্গত, মধ্যমগ্রামে সবুজে ঘেরা ইকোপার্ক তৈরীর পরিকল্পনা প্রায় কুড়ি বছর আগেই নিয়েছিলেন তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তখনই পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিহারা এলাকায় ১০ একর জমি চিহ্নিত করেছিল পৌরসভা। হয়েছিল প্রজেক্ট প্ল্যানিংও। বছর পাঁচেক আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে ইকোপার্ক তৈরির অনুমোদন মিললেও পার্ক তৈরির ফান্ড নিয়ে কিছু জটিলতার কারণে এতদিন কাজ শুরু করা যায়নি বলেই জানা যায়।
সম্প্রতি সেই সমস্যা মিটে যাওয়ায় কেএমডিএ-র সহায়তায় দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছে মধ্যমগ্রামের এই ইকো পার্কের। এর জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ কোটিরও বেশি টাকা। জানা গিয়েছে, পার্কের ভিতর থাকবে একটি বড় মাপের জলাশয়। সেখানে পর্যটকরা বোটিং করার সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যেই এই জলাশয়ের পার বাঁধাই করে গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। জলাশয়ের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হবে একটি সেতুও।
এছাড়াও পার্কে থাকবে দুষ্প্রাপ্য কিছু গাছ, হবে ফুলের বাগান, থাকবে শিশুদের খেলার মাঠ সহ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড, ফোয়ারা, গেমিং জোন এমনকি প্রবীনদের প্রাতঃভ্র মনে হাটার জন্য বিশেষ রাস্তা সহ বসার বন্দোবস্ত। পার্কের ভিতর থাকবে ফুড কোর্ট। মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সুচিত্রা বিশ্বাস জানান, এই ইকোপার্ক হয়ে গেলে প্রবীণ নাগরিকরা সকাল সন্ধ্যা এখানে গিয়ে বসতে পারবে, হাঁটতে পারবে, গল্প করতে পারবে। শিশুরাও খেলা ধুলোর পাশাপাশি আনন্দ পাবে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসবেন তাতে শহরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। অন্য আরেক বাসিন্দা তোর্ষা ভট্টাচার্য জানান, ব্যস্ত জীবনে প্রায়শই হাঁপিয়ে ওঠে মন। ইচ্ছে করে একটু সবুজের মাঝে গিয়ে শান্তি খুঁজতে। বাড়ির কাছে শহরের মধ্যেই যদি এমন ঠিকানা পাওয়া যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। মধ্যমগ্রাম বা হৃদয়পুর স্টেশন থেকে সহজেই এই পার্কে পৌঁছানো যাবে। এখন দেখার কত দ্রুত শেষ হয় মধ্যমগ্রামে এই দ্বিতীয় ইকো পার্ক তৈরির কাজ।
Rudra Narayan Roy