সেই সূত্রেই ভোররাত থেকেই আদালতে হাজির ছিলেন আব্দুল লতিফ। মুখে কালো মাস্ক, কালো টুপি চোখে কালো চশমা লাগিয়ে সকলের নজর এড়িয়ে আদালতে ঢুকে পড়েন লতিফ। সিবিআই ও বিচারক আসার আগেই এজলাসে কার্যত আত্মগোপন করে বসে থাকেন লতিফ।
এরপর সওয়াল জবাবের সময় আব্দুল লতিফের আইনজীবী বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসেছে। কোনো কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এরপরই বিচারক পাল্টা বলেন, কঠিন পদক্ষেপ আর সহজ পদক্ষেপের পার্থক্য কী! আদালতে যখন আসে, কোর্টের হেফাজতেই থাকে। কতটা সহযোগিতা লাগবে সিবিআইয়ের, সেটাও শুনতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'এটা কী বলুন তো..', সুকন্যাকে জিজ্ঞেস করে ইডি! উত্তর না মেলাতেই সঙ্গেসঙ্গে গ্রেফতার!
এরপরই আব্দুল লতিফের আইনজীবী ফের বলেন, সাধারণত কোর্ট কাস্টোডি নিতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া নেওয়া যাবে না। বিচারক এরপর জানতে চান, আপনি কী সাজেস্ট করছেন। কোয়ারশিপ অ্যাকশন নেওয়া যাবে না মানে কী? আব্দুলের আইনজীবী বলেন, সাধারণত ধরা হয় যে কাস্টোডিতে নেওয়া যাবে না। বিচারকের পাল্টা যুক্তি, তিনি এখন কোর্টের হেফাজতে। পি আর বন্ডে অসুবিধা কী?
এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না ৪ মে পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানির জন্য। কিন্তু ওঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। বিচারক তখন বলেন, জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট এন্ড হয়ে যাচ্ছে এখন। যেহেতু তিনি কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন। বিচারকের সংযোজন, এই ব্যক্তিকে নিয়ে আপনাদের এখন কী পরিকল্পনা আছে? তার উপর আমার (জামিনের) শর্ত নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন: কেন মোবাইল পুকুরে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ? কাকে বাঁচাতে? দ্বিতীয় মোবাইল খুলতেই বুঝে গেল সিবিআই
সিবিআইয়ের আইনজীবী তখন বলেন, জেরা করতে চাই। তদন্তে সহযোগিতা চাই। এরপর আব্দুল লতিফের আইনজীবী বলেন, আজ বললে আজই চলে যাবে সিবিআই ডাকলে। সিবিআইয়ের তরফে তখন জানানো হয়, আট মাসের প্রসিডিংয়ের পর আজ আত্মসমপর্ণ করলেন।