এ বিষয়ে পুরোহিত ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই কলেজে ছাত্রীদের মধ্যে শেখার যথেষ্ট প্রবণতা রয়েছে তাই মাত্র এক মাসের মধ্যেই তারা দক্ষতার সঙ্গে এই পুজো শিখে উঠতে পারে। সমস্ত নিয়ম মেনেই তারা পুজো করেন। এই ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতে পেরে তার ভীষণই ভাল লাগছে। এ বিষয়ে নিস্তারিণী কলেজের প্রিন্সিপাল ইন্দ্রানী দেব বলেন , ২০০৭ সাল থেকে তাদের কলেজের ছাত্রীরা সরস্বতী পুজো করে আসছেন। এটাই এই কলেজের ট্রাডিশন। সিনিয়র ছাত্রীদের সঙ্গে জুনিয়র ছাত্রীরা মিলিত হয়ে এই প্রশিক্ষণ নেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা এ প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। মেয়েরা যে সবটাই পারে সেই ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এ বিষয়ে হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট মালবিকা রায় পরামানিক বলেন , কলেজের সমস্ত ছাত্রীদেরই এই পুজোর কথা বলা হয় তাদের মধ্যে যারা আগ্রহী তারাই এগিয়ে আসেন। এবং তারা ভীষণই নিষ্ঠার সঙ্গে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে পুজোর দায়িত্ব নেন। ২০০৭ সাল থেকে এইভাবেই এই কলেজে সরস্বতী পুজো হয়ে আসছে। এ বিষয়ে কলেজের ছাত্রী বিদিশা পাত্র বলেন , মেয়েরা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। তাদের দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। পুরুলিয়া নিস্তারিণী মহিলা মহাবিদ্যালয় মেয়েদের জন্য যে এতোখানি ভেবেছে এটাই অনেক বড় পাওনা তাদের কাছে। তাদের ভীষণই ভাল লাগছে এই পুজোর অংশ হতে পেরে।
পুরুলিয়া মহাবিদ্যালয় একটি মহিলা কলেজ। তাই বাগদেবীর আরাধনা করবেন মেয়েরাই।আরাধনা বলতে শুধু পুজোর আয়োজনই নয়, পুজোর পৌরহিত্যও করবেন তারা।এই ভাবনা নিয়েই এই মহাবিদ্যালয়ে শুরু হয় সরস্বতী পুজো। যা আজও চলে আসছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি