আরও পড়ুন: কোনক্রমে গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে নেমেই প্রাণপণে দৌড় চালকের, একটুর জন্য বেঁচে গেলেন
এবার ঘটা করে পুজোর বদলে নমো নমো করেই পুজো সারতে চাইছেন অনেকে। নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ। তার ফলেই বিদ্যারদেবীর সঙ্গে কম্প্রোমাইজের রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা। টিনেজাররাও কিছুটা দোলাচালে রয়েছে এখনও। একদিকে সরস্বতী পুজোর নস্টালজিয়ার টান আর অন্যদিকে ভালোবাসা দিবসের আবেগ, দুইয়ে মিলে তারা কোন দিকে যাবে পুরোপুরি যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
advertisement
সদ্য শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু সামনেই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক। ফলে পড়ুয়ারা মনোনিবেশ করেছে পড়াশোনার দিকেই। তাই বিদ্যাদেবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে পুজোর জাঁকজমক কমিয়েছেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপে কাটানোর জন্য যে সময় এতদিন বরাদ্দ ছিল সেখান থেকেও কাটছাঁট হয়েছে। যে কারণে অনেক উদ্যোক্তা পুজোর বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন। বড় মূর্তির বদলে নিয়ে গিয়েছেন ছোট মূর্তি। নিয়ম রক্ষার পুজো করেই এই বছরটা অনেক উদ্যোক্তারা কাটিয়ে দিতে চাইছেন।সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট করা হয়েছে। পড়ুয়াদের যাতে পরীক্ষার আগে সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই সব বিষয়গুলি মাথায় রেখে বিদ্যার দেবীর আরাধনায় নেওয়া হয়েছে কম্প্রোমাইজের চিন্তাভাবনা।
সরস্বতী পুজোয় পরীক্ষার সঙ্গে দোসর হয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। অনেকেই ঠিক করতে পারছেন না, ওইদিন পুজোর আয়োজনে সময় কাটাবেন, নাকি প্রিয়জনকে নিয়ে বাইরে একটু ঘুরতে যাবেন। দোলাচালের মধ্যে থেকেই অনেক উদ্যোক্তা পুজোর জন্য বরাদ্দ সময় কমিয়েছেন। নিয়ম রক্ষার পুজো করে পরিকল্পনা রাখছেন আগামী বছর জাঁকজমকের জন্য। চলতি বছরে সরস্বতী পুজোর জৌলুস কমার এটাও অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আসানসোলের মহিশিলার এক মৃৎশিল্পী তুষার পাল বলেন, চলতি বছরে প্রতিমার চাহিদা কিছুটা কমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বড় প্রতিমার চাহিদা। বড় বড় ক্লাব যেগুলি জাঁকজমক সহকারে পুজো করে, তারা এ বছর উৎসবে কাটছাঁট করেছেন। বাজেটের থেকেও এখানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আয়োজকদের সঙ্গে পাওয়া। কারণ পরীক্ষার সময় রয়েছে। তার ফলে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নয়ন ঘোষ