আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও ভালবাসা দিবসের জোড়া ধাক্কায় বিদ্ধ বাগদেবীর আরাধনা
বুদবুদ সংলগ্ন এলাকাতেই রয়েছে রাজেন্দ্রবাবুর ওয়ার্কশপ। সেখানে বছরের প্রতিটি দিনই তিনি কোনও না কোনও প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। কখনও তিনি খড়ের কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দেন। কখনও আবার প্রতিমাতে রং তুলির কেরামতি দেখান। সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন তাঁর ছেলে। সেই ছোট বয়স থেকেই তিনি রং-তুলি হাতে তুলে নিয়েছেন। চারপাশে কী হচ্ছে তিনি বুঝতে পারেন না, জানতে তেমন আগ্রহও নেই। মত্ত থাকেন নিজের কাজে।
advertisement
রাজেন্দ্র প্রসাদ পাল বিশেষভাবে সক্ষম। ছোট বয়স থেকেই কানে শুনতে পান না। কথাও বলতেও পারেন না। রাজেন্দ্রবাবুর বাবা ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। ছেলেকে বাকশক্তি, শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার একাধিক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে চিকিৎসকরাও হাল ছেড়ে দেন। ফলে জীবনের দুই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছাড়াই যুদ্ধ করে চলেছেন রাজেন্দ্রবাবু।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাজেন্দ্রবাবুর ছেলে অরূপ পাল বলেন, তিনি বাবার কাছ থেকেই কাজ শিখেছেন। বাবা ছোট বয়স থেকেই এই কাজে হাত পাকিয়েছেন। এখন তাঁরাও বাবার হাত ধরে দক্ষ হয়েছেন। প্রতিমা তৈরির কাজে বাবার নিপুণ শিল্পকলা দেখে তাঁদের আক্ষেপ হয়, কেন বাগদেবীর আশীর্বাদ থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। সরকারি সাহায্য নিয়েও আক্ষেপ রয়েছে তাঁদের। কারণ সেই বাম আমলে শুরু হওয়া সামান্য ভাতা পান রাজেন্দ্রবাবু। তবে শিল্পীর এইসব বিষয়ে না আছে কোনও আক্ষেপ, না আছে কোনও হুঁশ। তিনি এগিয়ে চলেছেন নিজের মত, কাজ করছেন নিজের খেয়ালে।
নয়ন ঘোষ