আরও পড়ুন: কোনক্রমে গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে নেমেই প্রাণপণে দৌড় চালকের, একটুর জন্য বেঁচে গেলেন
পাত্র বাড়ির সরস্বতী প্রতিমা বিশাল আকৃতি, নজরকাড়া সাজসজ্জাতে নজর কাড়ে সকলের। এদিকে রাত পোহালেই বাগ্দেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। তাই এই মুহূর্তে সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে। হাওড়ার চ্যাটার্জি হাট পাত্র বাড়ির সরস্বতী পুজো এবার ২৫ বছরে পা দিল। রজতজয়ন্তী বর্ষের কথা মাথায় রেখে নানা চমক রয়েছে এই পুজোয়। এই বাড়ির বিশালাকৃতি সরস্বতী ঠাকুর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায়।
advertisement
মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে বাংলার ঘরে ঘরে বাগদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে আপামর বাঙালি। হাওড়ার অরিন্দম পাত্র ও পরিবারের পুজোটি গোটা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত সরস্বতী পুজো। এই প্রতিমা রূপদান করছেন বিশিষ্ট ভাস্কর পদ্মশ্রী সনাতন রুদ্রপাল। এই বছর রজতজয়ন্তী বর্ষের কথা মাথায় রেখে প্রতিমার সাজসজ্জা সম্পূর্ণ রুপো ও অ্যালুমিনিয়াম মেটাল দ্বারা নির্মিত হয়েছে। যা এবারের পুজোর অন্যতম চমক। বাড়ির মধ্যে এইরকম সুবিশাল প্রতিমা সাধারণত দেখা যায় না। ইতিমধ্যে রবিবার প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করেছেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, ছিলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট মানুষরাও।পুজো উপলক্ষে উদ্বোধনের দিন রামকৃষ্ণ আবাসিকের ৫০ টি শিশুকে শিক্ষাসামগ্রী এবং খাদ্যসামগ্রীও প্রদান করা হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবার সদস্য অরিন্দম পাত্র জানান, তাঁদের বাড়ির পুজোয় নানা চমক থাকে, যা এলাকার অন্যান্য বাড়ির পুজো এমনকি এলাকার বারোয়ারি পুজোগুলোর মধ্যেও সকলের নজর কাড়ে। প্রতিবেশীদের আত্মীয়দের যেমন আকর্ষণ থাকে এই প্রতিমা। সারা বাংলা এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও মানুষ আসেন। পুজোর কয়েকটা দিন সরস্বতী পুজোর ব্যস্ততার কারণে অনেকেই পাত্র বাড়ির প্রতিমা দেখার সুযোগ পান না। সেই সমস্ত মানুষের কথা ভেবে ৬ থেকে ৮ মাস পাত্র বাড়ির প্রতিমা রাখা হয়।
রাকেশ মাইতি