এবার পড়ুয়া, প্রাক্তনী, প্রবীণ আশ্রমিক ও বোলপুর- শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা হাতে গাছ বাঁচানোর পোস্টার নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে। পোস্টার হাতে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে দিয়ে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা।বোলপুর-শান্তিনিকেতন বাসিন্দাদের দাবি, “সারা পৃথিবীতে গাছ সংরক্ষণ করে উন্নয়নের কাজ চলছে।অন্যদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও রাস্তা তৈরির নামে একের পর এক গাছ কেটে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে।”
advertisement
আরও পড়ুন : শান্তিনিকেতনে একের পর এক গাছ কাটার নির্দেশ বিশ্বভারতীর! কিন্তু কেন?
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দফতরেনা থাকায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন তাঁর আপ্ত-সহায়ক। যদিও বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মতে “শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণেও যথেষ্ট নজর রয়েছে। পদ্ধতি মেনে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই গাছগুলি কাটা হচ্ছে। ড্রেন, প্রাচীর নির্মাণ সহ সৌন্দর্য বৃদ্ধির আপত্তি ওঠায় প্রাথমিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাছ কাটা। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কেন গাছ কাটার পথ নিয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা জন্মেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুদৃপ্ত ঠাকুর জানান, “শান্তিনিকেতনে একের পর এক বড় বড় গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। বিশ্বের সকলেই রবীন্দ্রনাথকে প্রকৃতির কবি হিসেবেই চেনেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাছাড়া ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি সম্মান শুধু বিশ্বভারতীর নয়, শান্তিনিকেতনকে প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের জন্যই দেওয়া হয়েছে। তাই এই সম্মান রক্ষা করা সকলের কর্তব্য।”
সৌভিক রায়