সরকারি ওয়েব পেজের আদলে নতুন ওয়েব পেজ তৈরি করে জাল চালান বানিয়ে চলছিল বালি পাচার। ভুয়ো চালান তৈরি করে বালির কারবার চালানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ।
এই চক্রের সঙ্গে আরও মাথা জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান পুলিশের। ঘটনার গভীরে যেতে ধৃতদের বিস্তারিত জেরা করছে পুলিশ। বালি পরিবহণের জন্য বৈধ চালান লাগে। এখানে জাল চালানের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছিল ভুয়ো ওয়েব পেজের কিউআর কোডের লিঙ্ক।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মূলত দুটি উপায়ে চালান জাল করা হতো।বালির চালান সঠিক কিনা সেটা জানার জন্য চালানের মধ্যে কিউআর কোড থাকে। তা স্ক্যান করলেই সরকারি ওয়েবসাইট http:// mdtcl.wb.gov.in এর পেজ খুলে যাবে। তা দেখেই চালানটি সঠিক কিনা, তা যাচাই করা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিতে সরকারি ওয়েবসাইটের আদলে প্রতারকরা http:// mdtcl.wb-gev.in নামে ওয়েব সাইট খুলেছিল। জাল চালানের জন্য কিউআর কোড এই ভুয়ো ওয়েবসাইটের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকত। ফলে আধিকারিকরা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সহজেই সরকারি ওয়েবসাইটের আদলে ওয়েবপেজটি খুলে যেত। ফলে সরকারি ও জাল ওয়েবপেজের মধ্যে পার্থক্য সহজে করতে পারতেন না সরকারি আধিকারিকররা।
এছাড়াও আসল চালান স্ক্যান করে সেই চালানে গাড়ির নম্বর, সময়, নাম পরিবর্তন করে আপলোড করা হত। চালানে থাকা কিউআর কোডের লিঙ্কটি আপলোড করা ইমেজের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেওয়া হত। ফলে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই আপলোড করা এডিটেড ইমেজটি খুলে যেত। যেখানে সরকারি ওয়েবপেজের নামও থাকত। ফলে দ্বিতীয় উপায়ে চোখে ধুলো দিয়ে এডিটেড করা জাল চালান দেখিয়ে বালি পাচার করা হত।
আরও পড়ুন, স্যালাইন খুলতেও চাইছে টাকা, বেনজির অভিযোগ রাজ্যের এই সরকারি হাসপাতালে
এভাবেই পুলিশ ও রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে চলত বালি চুরির রমরমা কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের খেজুরহাটি থেকে লায়েক আজহারউদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরেই শিক্ষাসচিবকে নির্দেশ, জানালেন ব্রাত্য
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪টে মোবাইল সহ বেশ কয়েকটি ভুয়ো চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের সন্ধান পেতে পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে।