মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরেই শিক্ষাসচিবকে নির্দেশ, জানালেন ব্রাত্য
- Published by:Satabdi Adhikary
- Written by:SOMRAJ BANDOPADHYAY
Last Updated:
পাশাপাশি, শিক্ষামন্ত্রীর এ-ও বক্তব্য়, আদালতে এদিন বিচারপতি এবং মণীশ জৈনের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে তা আইনি বিষয়, তাই তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না তিনি
#কলকাতা: অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ মামলায় এবার সরাসরি নাম জড়িয়েছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। উপর মহল থেকেই তাঁর কাছে অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ এসেছিল বলে আদালতকে জানিয়েছেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। ব্রাত্য বসু অবশ্য জানালেন, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরেই তিনি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলেন।
তবে, পাশাপাশি, শিক্ষামন্ত্রীর এ-ও বক্তব্য়, আদালতে এদিন বিচারপতি এবং মণীশ জৈনের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে তা আইনি বিষয়, তাই তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না তিনি।
এদিন ব্রাত্য বলেন, "মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই আমি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম। তবে মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সব আদালতে হয়েছে। আইনি বিষয়। আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এ নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয় উপযুক্ত জায়গায় থেকে বলা হবে।"
advertisement
advertisement
আদালতে এদিন শিক্ষাসচিবকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "আপনি কি জানেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী কোনও বেআইনি নিয়োগ করা যায় না? তা হলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?" বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মণীশ জৈন জানান, উপযুক্ত স্তর থেকেই তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুই নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন শিক্ষাসচিব। মণীশ বলেন, "আমরা আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলি। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়। সবশেষে জানানো হয় মুখ্যসচিবকে। তারপরে নিয়োগের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়।"
advertisement
এরপরে ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, "আপনি কি মনে করেন যে, অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার? এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে? আবার বলা হচ্ছে, কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই।"
advertisement
এদিন মন্ত্রিসভাকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, "হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে, আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি।"
বিচারপতির কথায়, কেন প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এই অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য? মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে সংবিধানবিরোধী কাজ বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। এমনকি, শুক্রবার তৃণমূলের লোগো প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
advertisement
গতকাল অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতে ডেকে পাঠানো হয় মণীশ জৈনকে। এদিন বিকেলে আবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরেও তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি হাজিরাও দেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতকে সেই কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত পরশু স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে এজলাসে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 25, 2022 4:02 PM IST