পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই শ্রমিকের নাম লোকমান শেখ(৪৫)। তার বাড়ি সামসেরগঞ্জ থানার দেবীদাসপুর গ্রামে। বাড়ি ফিরে আসার দিনেই শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দু’য়েক আগেই দাদনের কাজে দেবীদাসপুর গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে ওড়িশায় রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : গ্রাহকের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা! নন্দীগ্রামে হোটেল-রেস্টুরেন্টে প্রশাসনের হানা
বুধবারই দুই মাস সম্পন্ন হয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু পরিবারের লোকজনের দাবি, রবিবার বিকেলে শেষবারের মতো কথা হয়েছে লোকমানের সঙ্গে। সন্ধ্যায় একসঙ্গে ভাত খাওয়ার খাওয়ার সময় মাছ ভাগ করার মতো সামান্য বিষয় নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গেই বচসা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন ওই শ্রমিক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিষয়টি নিয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন তাঁরা। যদিও বুধবার পরিবারের লোকজনের কাছে খবর আসে, ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে লোকমানের। মৃত্যুর খবর বাড়ি পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খুনের পিছনে সামসেরগঞ্জের দেবীদাসপুর থেকে যাওয়া দু’জন সহকর্মী এবং এক ঠিকাদারের দিকে আঙুল তুলেছেন পরিবারের লোকজন।