বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে এক অন্যতম পার্বণ রাস উৎসব। রাধা কৃষ্ণের রাস উৎসবে মাতেন আট থেকে আশি সকলে। তবে এখানে শুধু এই জেলার নয়, ভিন জেলা থেকেও একাধিক দেব দেবীর বিগ্রহ এনে পুজো করা হয়। মেতে উঠেন হাজারও হাজারও মানুষ। শুধু তাই নয়, থাকে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রাচীন উৎসবকে ঘিরে নানা উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। তবে এই এলাকায় এক অন্যতম রাস উৎসব। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন এলাকার মানুষ।
advertisement
প্রতিবছর এখানে বহু সংখ্যক মানুষের ভিড় জমে। এবারও প্রায় ৪০টি মঞ্চে অধিষ্ঠিত প্রায় শতাধিক বিগ্রহ, যা এখানের রাসের মূল আকর্ষণ। শুধু তাই নয়, মহোৎসব এ রয়েছে এক বিশাল আয়োজন। প্রায় তিরিশ হাজার ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করবেন এখানে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এই উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় কয়েকজন মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুর লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের শেষ প্রান্ত দশগ্রাম। এখানেই দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে আয়োজন করা হয়েছে রাস উৎসব। প্রসঙ্গত, এলাকার মতে এক অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই রাস। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবে মেতে উঠেন বহু মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম কিংবা পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকা থেকে মহাপ্রভু, রাধাকৃষ্ণ এমনকি জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ এনে পুজো করা হচ্ছে একই মঞ্চে। সারি দিয়ে সাজানো একাধিক মূর্তি। বেশ কয়েকদিন ধরেই রয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আয়োজন। স্বাভাবিকভাবে ময়নাগড়ের রাস কিংবা পঁচেটগড়ের রাস উৎসব নয়, দশগ্রাম এলাকায় রাস উৎসবে মেতে ওঠেন নারায়ণগড়, দশগ্রাম, সবং, পিংলা, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, ময়না সহ একাধিক এলাকার হাজার হাজার মানুষ। বছরের মাত্র কয়েকটা দিন আনন্দের জন্য অপেক্ষায় থাকেন সারাটা বছর।





