চলতি বছরে পরপর জমা জলের সমস্যা। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম বিস্তৃর্ণ এলাকা। কিছু কিছু জায়গাই এখনও জল আছে। কিছু কিছু জায়গাই জলের মাঝেই ভাঙাচোরা ইঁটের ওপর বাঁশের মাচা করা হয়েছে যাতে কোনওরকমে রাস্তা চলা যায়। কোথাও রাস্তা একেবারেই ধ্বংসপ্রায়। প্লাবনের ধাক্কায় এইসব রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিকই তবে বর্তমানে এই রাস্তা যেন মৃত্যুকূপ। ঘাটালের একাধিক গ্রামের রাস্তা প্লাবনের জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোথাও বড় যান চলাচল বন্ধ অসহায় সাধারণ মানুষ। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে পারাপার করতে হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। কবে ঠিক হবে?
advertisement
আবার এই রাস্তা নিজস্ব সৌন্দর্য্য ফিরবেন সেই উত্তর জানতে চাওয়া হলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাঁচ ছবারের অধিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘাটালের বিস্তৃর্ণ এলাকা। আর তার ফলেই প্লাবিত হয়ে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। সেই রিপোর্ট করা হয় জেলায় এবং জেলা থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার সম্ভবণা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রোপোজাল ও এষ্টিমেট পাঠানও হয়েছে এবার কিছু টেন্ডার প্রক্রিয়া জেলাতে ও কিছু টেন্ডার হবে পঞ্চায়েত সমিতিতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আশাবাদী এই ১০ কোটি টাকা চলে এলেই প্রধান প্রধান সড়কগুলো মেরামত করা হয়ে যাবে এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ তাই তিনি সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে অনুরোধ জানান এবং বলেন যে ‘আশা করি দু’মাসের মধ্যেই রাস্তা সাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ এখন নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। গ্রামের প্রধান রাস্তাগুলোর অবস্থায় শোচনীয়। তাই কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢোকে না। পথচলতি মানুষদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যা হয়েছে তা অবশ্য প্লাবনেরই ভয়াল ফলাফল। এতে কারও হাত নেই। তাই প্রশাসন তরফে মেরামতির আশ্বাস পাওয়ার পর অপেক্ষা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এখন দেখার কবে সমস্ত জটিল প্রক্রিয়া শেষ হয়ে কাজ শুরু হয় পান্না সহ একাধিক এলাকার প্রধান সড়কগুলির।