পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু বছর আগে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে কাজ করত আরজি পার্টি। কিন্তু একটা সময়ের পর এই আরজি পার্টি উঠে যায়। বর্তমান সময়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন বাজার বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামার পর। ফলে পুনরায় আরজি পার্টিদের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
advertisement
বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি বাজার এলাকায় রাতে টহল দেওয়ার কাজ করবে এই আরজি পার্টি। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকবে নিয়মিত। কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেবে। এলাকায় ছোটখাটো চুরি, দোকানভাঙা, বাইক চুরি ইত্যাদি ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে তাই পুনরায় এই আরজি পার্টি শরণাপন্ন হল পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে নন্দকুমার থানার উদ্যোগে এবং স্থানীয় বাজার কমিটিগুলির আলোচনার ভিত্তিতে পুনরায় গঠন করা হয়েছে মোট সাতটি আরজি পার্টি। প্রতিটি পার্টির সঙ্গে থাকবেন দু’জন করে সিভিক ভলেন্টিয়ার।
পুলিশ সুপার সৌমদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন থানায় আরজি পার্টি বা গ্রামরক্ষী বাহিনী পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে। নন্দকুমার থানাতেও সাতটি আরজি পার্টি চালু হল। পুলিশের পাশাপাশি বাজার কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসীরাও এই উদ্যোগে অংশ নেবেন। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও উন্নতি হবে। আরজি পার্টিদের মূল কাজ হবে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দেওয়া’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নন্দকুমার থানায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আরজি পার্টির সদস্যদের হাতে ব্যাজ, লাঠি, বাঁশি, লাইট-সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তুলে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার সৌমদীপ ভট্টাচার্য। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিখিল আগরওয়াল, নন্দকুমার থানার ওসি অমিত দেব সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের হাতে খেলাধুলার সরঞ্জামও তুলে দেওয়া হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পুনরায় আরজি পার্টি চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে। মূলত জেলা জুড়ে আইনের শাসন শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্যই এই পদক্ষেপ।