TRENDING:

River Erosion: ভাগীরথী গিলে খাচ্ছে অগ্রদ্বীপ! আবার শুরু হয়েছে ভাঙন, দেখুন ভয়াবহ পরিস্থিতি

Last Updated:

ছিল ৫০ ফুট চওড়া রাস্তা, তবে এখন সেটাই সঙ্কুচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ ফুটে! ভাগীরথীর ভয়ঙ্কর ভাঙনে ধীরে ধীরে গ্রাসের মুখে পড়ছে কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের অগ্রদ্বীপ গ্রাম। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান , বনোয়ারীলাল চৌধুরী: ছিল ৫০ ফুট চওড়া রাস্তা, তবে এখন সেটাই সঙ্কুচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ ফুটে! ভাগীরথীর ভয়ঙ্কর ভাঙনে ধীরে ধীরে গ্রাসের মুখে পড়ছে কাটোয়া দুই নম্বর ব্লকের অগ্রদ্বীপ গ্রাম। নদীপাড়ের বিশাল চাঙর গর্জন তুলে ভেঙে পড়ছে নদীতে। ফলে গ্রামে ঢোকার একমাত্র রাস্তা, ফেরিঘাটের যাওয়ার পথ দুটোই এখন নদীর পেটে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়।
advertisement

বছরের পর বছর এই অগ্রদ্বীপে নদীভাঙন চলছেই। কিন্তু এবারের ভাঙন যেন আরও মারাত্মক। নদীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি। আর কয়েক হাত দূরেই রয়েছে নদী! আতঙ্কে দিন গুনছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই ভাঙন থামানো না গেলে অচিরেই জমি-বাড়িঘর সব নদী গর্ভে মিলিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ২০০২ ভোটার তালিকায় পরিবারের কারও নাম না থাকলে কী হবে? এসে গেল এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

advertisement

View More

পূর্ব বর্ধমানের ওই গ্রামের বাসিন্দা সূর্য মণ্ডল বলেন, “রাস্তাটা অনেকটাই চওড়া ছিল কিন্তু ভাঙনের কারণে অনেকটাই ছোট হয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই সবাই ফেরিঘাটে যাতায়াত করে। সরকারের কাছে অনুরোধ করব যেন ভাঙন রোধে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবেই আমাদের গ্রামটা বাঁচবে।” গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসন বরাবরই উদাসীন। বহুবার পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসন পর্যন্ত জানানো হলেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। নদী বাঁধার নামে বালির বস্তা আর খাঁচা ফেলার কাজ হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোও তলিয়ে গেছে বন্যার জলে। ওই কাজের টাকা যেন নদীতেই ভেসে গিয়েছে,ক্ষোভ প্রকাশ গ্রামবাসীদের।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

গ্রামবাসী তথা তৃণমূল কৃষাণ কংগ্রেস সভাপতি কেষ্ট বাগ জানিয়েছেন, “ফেরিঘাটের পাশে যাতায়াতের অনেকটা রাস্তায় ভেঙে গেল। মানুষের যাতায়াত নিয়ে চিন্তা বেড়ে গেল। যাঁরা নদীর ধারে থাকেন তাঁরা চরম আতঙ্কিত এবং চিন্তিত। এই বিষয়ে আমরা কেন্দ্র সরকারকে বার বার আবেদন জানিয়েছি। আমরা কালনা ইরিগেশন এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকেও ফোন করে বলেছি আসার জন্য, তিনি আসবেন বলেও জানিয়েছেন। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জিও ইরিগেশনে ফোন করে সবটা জানিয়েছেন। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা না নিলে এই রাস্তা ভেঙে গেলে যাতায়াতে চরম সমস্যা হবে।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফিল্মি কায়দায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল যুবক! পরের ঘটনা জানুন
আরও দেখুন

এখন ফেরিঘাট থেকে গ্রামে যাওয়ার রাস্তা ভাঙনের মুখে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে চিন্তায় ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিদিন যাতায়াত করা সাধারণ মানুষও। রাস্তাটা যদি পুরোপুরি নদীতে তলিয়ে যায়, তাহলে ফেরিঘাট চালানোই বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন নৌকাচালকরা। একই সঙ্গে চরম আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরাও। অগ্রদ্বীপবাসীর একটাই দাবি বালির বস্তা নয়, চাই পাকাপোক্ত নদী বাঁধ। নইলে গ্রামটা হয়তো মানচিত্র থেকেই মুছে যাবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
River Erosion: ভাগীরথী গিলে খাচ্ছে অগ্রদ্বীপ! আবার শুরু হয়েছে ভাঙন, দেখুন ভয়াবহ পরিস্থিতি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল