উল্টো রথ এবং সোজা রথকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর চন্দ পরিবার তৈরি করেন এগুলি। কাগজ এবং পিচবোর্ড দিয়ে তৈরি দেহ এরপর হাতি এবং সিংহের মুণ্ডুটি বানানো হয় কাগজ দিয়েই। তারপর বাঁশের ছোট্ট টুকরো দিয়ে মাটি লাগিয়ে দেহের সঙ্গে মাথার ঘটে সংযোগ স্থাপন। রথকে কেন্দ্র করে বাচ্চাদের বিশেষ উৎসাহ থাকে এই পুতুল গুলির প্রতি। এই পুতুলগুলিকে অনেক সময় রাখা হয় রথে, বাড়ে রথের সৌন্দর্য। এছাড়াও কেনে বাচ্চারা। দূর থেকে দেখলে বোঝা যাবে, টুকটুক করে নড়ছে মাথা। একটু হাওয়া দিলে কিংবা ধাক্কা দিলেই মাথা নাড়ে পুতুলগুলি। পুতুল প্রস্তুত কারক বলেন, “মূলত, মাটি ভরে বাঁশের পিছনটি ভারি করা হয়, যার জন্য পুতুলগুলির মাথা নড়ে। একমাত্র রথের সময় এই পুতুলগুলি তৈরি করা হয়।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
বাঁকুড়া শহরের মৌলাডাঙ্গার চন্দ পরিবার। পরিবারের সকলে মিলেই করছেন এই কাজ। প্রতিবছর মাটির কাজ করার পাশাপাশি রথের সময় এই পুতুল বানিয়ে রোজগার করেন তারা। এক একটি পুতুল বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। মহিলা শিল্পী জানান, “পয়সার অসুবিধা রয়েছে বলে এই কাজটি করছি। মাত্র ৬৯-৭০ টাকায় বিক্রি হয় পুতুলগুলি।”
বাঁকুড়া জেলা জুড়ে দেখা যায় বিভিন্ন রকমের উৎসব কেন্দ্রিক শিল্প। রথকে কেন্দ্র করে, এই বিশেষ পুতুলও এক ধরনের উৎসব কেন্দ্রিক শিল্প। যা দেখতেও মৌলিক এবং বাচ্চাদের মন কেড়ে নেয় খুব সহজে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়