এখানে মা পরম বৈষ্ণব, দেবী এখানে রটন্তীকালী।পুরনো নিয়ম অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকা যখন লীলা করছিলেন সেই খবর গিয়ে পৌছায় রাধিকার স্বামী আয়ান ঘোষের কাছে। রাধিকার স্বামী আয়ান ঘোষ এসে দেখেন রাধিকা কালি পুজো করছেন, প্রেমিকাকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ কালীর রূপ ধরেন, যা কৃষ্ণকালী নামে পরিচিত, রাধিকার কালীপুজোর এই কথা রটে গিয়ে ছিল বলে এই তিথিতে কালীপুজোকে রটন্তীকালী পুজো বলা হয়, এখন বটকৃষ্ণ ঠাকুরের সুযোগ্য পুত্র কালিপদ অধিকারী (পণ্ডিত শিবানন্দপুরী ) এই পঞ্চমুন্ডের মন্দিরে সাধনা করেন। আর সারা বছর এই বৈষ্ণব বাড়িতে পূজিতা হোন মা রটন্তীকালী।
advertisement
আরও পড়ুন: এই মিষ্টি খেলে হবে না ডায়াবেটিস! উপকারী মিষ্টি স্বাদেও অনন্য, বলছে সরকার
পুজোর সূত্রপাত কিভাবে তা জানতে গেলে যেতে হবে ৭৩ বছর পিছনে। এই গ্রামেরই এক দরিদ্র গোড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বটকৃষ্ণ অধিকারী মহাশয়। বৈষ্ণব সূলোভ আচরণ ছোট থেকেই জন্ম সূত্রে পেয়েছিলেন অধিকারী মশাই। সেই সময়ে ম্যাট্রিক্স পাস করেছিলেন তিনি ভিন রাজ্যে চাকরিও জুটে ছিল তার কিন্তু মা তার ছেলেকে আবারও ডেকে নেয় কাছে। সংসার ধর্ম করার পরেও তন্ত্রসাধনার দিকে আগ্রহ ছিল তার বেশি। একসময় তিনি শ্মশানে সাধনা করতে করতে সিদ্ধি লাভ করেন, এবং স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে মা কালীর মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।
কিন্তু কুলীন বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম তাঁর বাড়িতে কেউ তিলক সেবা, রাধাগোবিন্দের নাম না করে জল স্পর্শ করেন না, সেই বৈষ্ণব বাড়ি তে কালি পুজো তৎ কালীন সমাজের মাথারা বললেন নৈব নৈব চ, কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি বাড়িতে কালীর ঘট স্থাপন করলেন। পরে আবার ও স্বপ্নদ্ষ্ট হোন যে মা এর মূর্তি প্রতিস্থাপনের, কিন্তু এ কি!! এত কালো বা নীল নয়, এত নব দুর্বার ওপর শ্যাম ও শ্যামা একসঙ্গে, এবং কৃষ্ণ ও কালির আদেশে বটকৃষ্ণ ঠাকুর রটন্তী কালিপুজোর দিন প্রতিষ্ঠা করেন এই সবুজ রঙের কালীমাতা কে।
রাহী হালদার