জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলায় অধিকারী পরিবারের বসবাস। মুর্শিদাবাদ জেলা-সহ পার্শবর্তী জেলাতেও অধিকারী বংশধর বিস্তৃত। অধিকারী পরিবার-সহ বিভিন্ন বাড়িতে রসিক রায়ের দৈনিক পুজো চলে। তবে এই পুজা কোন মন্দিরে হয় না, বাড়িতে বাড়িতে রসিক রাই ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে গিয়ে পুজো করেন মুর্শিদাবাদ জেলার অধিকারি পরিবার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় বারো মাসে এক বছর হয়, কিন্তু এই ঠাকুরের আঠারো মাসে এক বছর ধরা হয়।
advertisement
জানা যায়, এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেন দৈবকি নন্দন অধিকারী। তার বাড়ি বর্ধমান জেলায় রসুল বিলেশ্বর গ্রামে। সেখানে পুজোর প্রতিষ্ঠার পর মুর্শিদাবাদের গোলাহাটে আসে। তারপরে এই অধিকারী পরিবারের বংশধররা বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করেন। রসিক রাই ঠাকুরের পুজো বৈষ্ণব মতেই হয়ে থাকে। বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্ম এই পুজো করেন। পূর্ব পুরুষের নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়ে আসছে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়।
পায়ে হেঁটে এক বাড়ি থেকে অপর বাড়িতে রওনা দেন। ঠাকুরকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। চলে সকাল থেকেই সেবা। পরিবারের গৃহবধূরা নিজের হাতে ভোগের ব্যবস্থা করে ঠাকুরের সেবা দেন। সকালে পুজো, দুপুরে ভোগ, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতি দিয়ে শয়ন দেওয়া হয়। ফলে রসিক রায়ের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে একাধিক সেবার মধ্যে খাওয়া দাওয়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পোলাও, ভাত, লেবু, শাক, ডাল, বিভিন্ন রকম ভাজা ,পায়েস ও নাড়ু দিয়ে ভোগ সাজানো হয়। অধিকারী পরিবারের সদস্যরা বাইরে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও বিশেষ দিনের জন্য বাড়িতে আসেন এবং পুজো পরিচালনা করে। নাচ গানের মধ্যে তারা আনন্দ উপভোগ না করে, ঠাকুরের সেবা দিয়ে আনন্দ করেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা।





