TRENDING:

Rashik Rai: রসিক রাই কোনও মন্দিরে পূজিত হন না! আঠারো মাস বাড়ি-বাড়ি ঘুরিয়ে চলে নিত্যসেবা, ঠাকুরের ইতিকথা অনেকেরই অজানা

Last Updated:

Murshidabad Rashik Rai: মুর্শিদাবাদ জেলায় অধিকারী পরিবারের বসবাস। রসিক রাইয়ের প্রতিষ্ঠা তাঁদের হাতেই। তবে রাধা-গোবিন্দর পুজো কোন মন্দিরে হয় না। বাড়িতে বাড়িতে রসিক রাই ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে গিয়ে পুজো করেন মুর্শিদাবাদ জেলার অধিকারি পরিবারের সদস্যরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী: রসিক রাই। একদা রাধা-গোবিন্দ এই ঠাকুর হিসাবেই পরিচিত ছিল অনেকেরই কাছে। বর্ধমান জেলার রসুল বিলেশ্বর গ্রামে দৈবকি নন্দন অধিকারীর প্রতিষ্ঠা করেন শতাধিক বছর আগে। কিন্তু এই দেবতা কোন মন্দিরে পুজো হয় না। সারা বছর ঘুরে ঘুরে ভ্রমণ করে বিভিন্ন বাড়িতে পুজো হয়। আজকে শোনাব সেই রসিক রাই ঠাকুরের ইতিকথা।
advertisement

জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলায় অধিকারী পরিবারের বসবাস। মুর্শিদাবাদ জেলা-সহ পার্শবর্তী জেলাতেও অধিকারী বংশধর বিস্তৃত। অধিকারী পরিবার-সহ বিভিন্ন বাড়িতে রসিক রায়ের দৈনিক পুজো চলে। তবে এই পুজা কোন মন্দিরে হয় না, বাড়িতে বাড়িতে রসিক রাই ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে গিয়ে পুজো করেন মুর্শিদাবাদ জেলার অধিকারি পরিবার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় বারো মাসে এক বছর হয়, কিন্তু এই ঠাকুরের আঠারো মাসে এক বছর ধরা হয়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ভোররাতে দুর্ঘটনার কবলে কয়লা বোঝাই লরি! ভয়াবহ অবস্থায় ঝুলছে কালভার্টের মধ্যে, যেভাবে রক্ষা পেলেন চালক এবং খালাসি

জানা যায়, এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেন দৈবকি নন্দন অধিকারী। তার বাড়ি বর্ধমান জেলায় রসুল বিলেশ্বর গ্রামে। সেখানে পুজোর প্রতিষ্ঠার পর মুর্শিদাবাদের গোলাহাটে আসে। তারপরে এই অধিকারী পরিবারের বংশধররা বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করেন। রসিক রাই ঠাকুরের পুজো বৈষ্ণব মতেই হয়ে থাকে। বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্ম এই পুজো করেন। পূর্ব পুরুষের নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়ে আসছে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ তরজা গান, পুতুল নাচ, সার্কাস! বারুইপুরে ৩০০ বছরের রাস উৎসব ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে, জমিদারি নিয়ম-রীতি মেনেই পুজো

পায়ে হেঁটে এক বাড়ি থেকে অপর বাড়িতে রওনা দেন। ঠাকুরকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। চলে সকাল থেকেই সেবা। পরিবারের গৃহবধূরা নিজের হাতে ভোগের ব্যবস্থা করে ঠাকুরের সেবা দেন। সকালে পুজো, দুপুরে ভোগ, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতি দিয়ে শয়ন দেওয়া হয়। ফলে রসিক রায়ের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে একাধিক সেবার মধ্যে খাওয়া দাওয়া।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যাওয়া বাবা-মায়েদের আবারও নতুন করে বাড়ছে কদর সন্তানের কাছে!
আরও দেখুন

পোলাও, ভাত, লেবু, শাক, ডাল, বিভিন্ন রকম ভাজা ,পায়েস ও নাড়ু দিয়ে ভোগ সাজানো হয়। অধিকারী পরিবারের সদস্যরা বাইরে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও বিশেষ দিনের জন্য বাড়িতে আসেন এবং পুজো পরিচালনা করে। নাচ গানের মধ্যে তারা আনন্দ উপভোগ না করে, ঠাকুরের সেবা দিয়ে আনন্দ করেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Rashik Rai: রসিক রাই কোনও মন্দিরে পূজিত হন না! আঠারো মাস বাড়ি-বাড়ি ঘুরিয়ে চলে নিত্যসেবা, ঠাকুরের ইতিকথা অনেকেরই অজানা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল