বিদেশি মিয়াজাকি থেকে দেশি গোপাল ভোগ বা হিমসাগর সব মিলিয়ে একটি গাছেই ৩০ থেকে ৪০টি প্রজাতির আম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরির প্রান্তিক এলাকা কুঞ্জপুরেই এই আম বাগানে দেশি বিদেশি আমের ফলন দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে আম প্রিয় মানুষজন। প্রায় তিন বিঘা জমিতে পাঁচ শতাধিক প্রজাতির আমের বাগান গড়ে তুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত খেজুরি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. অসীম কুমার মান্না ও তার ছেলে অর্পণ মান্না। আল্ট্রা হাইড্রেশন পদ্ধতিতে দেশীয় আম গাছে গ্রাফটিং করে এক একটি গাছেই তিরিশ থেকে চল্লিশ কিংবা পঁচাশি থেকে একশোর বেশি প্রজাতির আম গাছ লাগিয়েছেন। আর এই গাছগুলিতে ইতিমধ্যে ফলনও এসেছে একাধিক প্রজাতির আম।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
দেশি প্রজাতির হিমসাগর, কাটিমন,ল্যাংড়া, মল্লিকা, আম্রপালি, ভান্ডরাজ, রিগমা, চৌষা, কালী, রসবাহার, বেগুনফুলি, ফজলি যেমন রয়েছে তেমন বিদেশি প্রজাতির উল্লেখযোগ্য যে আম চর্চায় থাকে সেই মিয়াজাকী, আপেল ম্যাংগো, বেনানা ম্যাংগো, চিয়াং মাই, রেড আইভরি, ন্যাম ডক মাই, পালমার, ব্যানানা কিং, থ্রি টেস্ট সহ আরও বিভিন্ন আম রয়েছে। এমন এক আম রয়েছে যেটা বড় হলে ওজন ছাড়িয়ে যায় ১ থেকে ২ কেজিরও বেশি, আবার এমনও আম রয়েছে যা কলার থেকেও লম্বা, এছাড়াও থ্রি টেস্ট অর্থাৎ একটা আম থেকে তিন রকম স্বাদ পাওয়া যাবে সেরকম প্রজাতির আমও রয়েছে অসীম বাবুর আম বাগানে। অসীমবাবুর এই কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর ছেলে অর্পণ মান্না।
ছেলের সহযোগিতায় শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া আমেরিকা সহ একাধিক দেশের আম গাছ লাগান হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশি-বিদেশি মিলিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছে ঝুলছে আম। শুধু তাই নয় আমের পাশাপাশি একাধিক ফলের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। যা তাক লাগাচ্ছে গোটা জেলাবাসিকে। অসীমবাবুর এই বাগান বর্তমানে জেলাবাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির আম দেখতে আসছেন সাধারণ মানুষ।
সৈকত শী