তবে জানলে অবাক হতে হয়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও রয়েছে সেই একই নামের আর এক ‘রাম সেতু’, যা স্থানীয়দের যাত্রাপথে প্রতিদিন নীরবে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া ও ভাটপাড়া অঞ্চলের সঙ্গে রথতলা এলাকাকে সংযোগ রক্ষা করে এই সেতু, যা স্থানীয়ভাবে পরিচিত “রাম সেতু ব্রিজ” নামে। তবে গুগল ম্যাপে ব্রিজটির নাম দেখায় রাম সেতু বলেই। লোহার তৈরি এই উড়ালপুলের নিচ দিয়েই চলে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ—একদিকে কাঁকিনাড়া স্টেশন, অন্যদিকে নৈহাটি।
advertisement
ব্রিজটির অবস্থানগত দিক থেকে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ জংশন পয়েন্ট, যা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এক দশকের বেশি সময় আগে নির্মিত এই সেতুটি শুধু দু’টি অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ নয়, বরং এটি একপ্রকার ‘লাইফলাইন’—বিশেষত স্থানীয় স্কুল, কলেজ, অফিস ও ব্যবসায়ী মহলের কাছে। যানজটমুক্ত দ্রুত যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রীবাহী বাস, অটো, বাইক থেকে শুরু করে পণ্যবাহী গাড়ি—সবই এই রাস্তাই ব্যবহার করে চলাচল করে।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ‘রাম সেতু’ নামটি এখনও অনেকের কাছেই অজানা। অধিকাংশ মানুষ একে চেনেন ভাটপাড়া ব্রিজ বলেই। অথচ প্রশাসনিকভাবে এটি রেকর্ডে ‘রাম সেতু ব্রিজ’ হিসেবেই নথিভুক্ত। ব্রিজটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক চান স্থানীয়রা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিজের ভার বহনের চাপ বেড়েছে বহুগুণ।
রাম সেতু নামটি যতই পৌরাণিক শিকড়ে বাঁধা থাক, উত্তর ২৪ পরগনার এই আধুনিক ‘রাম সেতু ব্রিজ’ আসলে সেই ধারাবাহিকতার এক প্রতিচ্ছবি, যেখানে অতীত ও বর্তমান মিলেমিশে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তুলছে। এমন সেতু শুধু যোগাযোগ নয়, মানুষের জীবনযাত্রার এক নীরব নায়কও বটে।
— Rudra Narayan Roy





