চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট রিষড়ার রামনবমীর রুট পরিবর্তন করতে বলেছিল উদ্যোক্তাদের। বাঙুর পার্ক থেকে শুরু করে এন এস রোড হয়ে জিটি রোড, মৈত্রী পথের সামনে দিয়ে মাহেশ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিমি যে রুট থাকে সেটা পরিবর্তন করে রিষড়া রেল লাইন বরাবর চার নম্বর গেট হয়ে মাহেশে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পুলিশ। উদ্যোক্তারা তা না মেনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে পুরোনো রুটেই শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: যন্ত্রণার অপর নাম রেলগেট! বীরপাড়ার মানুষ যেন নরকে থাকছে
শোভাযাত্রা দুপুর দুটোয় শুরু করে পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ২০০ জনের বেশি রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় থাকবেন না। যে এলাকা দিয়ে শোভাযাত্রা যাবে সেখানে সিসি ক্যামেরা, হ্যান্ডি ক্যাম, বডি ক্যামেরা ও ড্রোনে নজর দারি চালানো হবে। প্রত্যেক শোভাযাত্রার মিছিলে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের নাম আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে। ২০ টির বেশি গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না।
চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় সাতটি থানাতে একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয়। রিষড়ার পাশাপাশি শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর ও চুঁচুড়া থানা এলাকায় ১৭-২১ এপ্রিল এই শোভাযাত্রাগুলি হবে। মাঝে শুক্রবার শোভাযাত্রা হবে না। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মত সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে আধা সামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তায় কাজে লাগানো যাবে। সেই মত রামনবমীর আগে থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে পুলিশ টহল দেবে।
রাহী হালদার