গত কয়েক বছর ধরে ব্যারাকপুর এর বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী-সহ স্বাস্থ্য দফতররের আধিকারিকেরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করলেও, কাজের গতি অত্যন্ত ধীর হওয়ায় তা এখনও সম্পন্ন হয়নি। এদিন হাসপাতালের সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখতে এসে ঠিকাদার সংস্থার উপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। দিলেন ব্লাক লিষ্টেড করার হুঁশিয়ারিও।
advertisement
বিধায়কের সঙ্গে হাজির ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত, ভারপ্রাপ্ত সুপার সঞ্জয় গুহ, কাউন্সিলর নৌসাদ আলম-সহ হাসপাতালের অন্যান্য আধিকারিকরা। কী ভাবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় এই হাসপাতাল থেকে সেই লক্ষ্যেই বিধায়ক-সহ স্বাস্থ্য দফতরেরর আধিকারিকেরা ভাবনা চিন্তা করলেও, যে ঠিকাদার সংস্থা এই কাজের বরাত নিয়েছেন তারা টাকা খেয়ে, কাজ করছেন না বলেই অভিযোগ। ফলে সংস্কারের কাজ থমকে রয়েছে এক প্রকার। এদিন সেই ঠিকাদার সংস্থার সহ পি ডব্লিউ ডির আধিকারিকদেরও চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেন বিধায়ক। ফলে নতুন বছরের জুন জুলাই পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে কাজ শেষ করার। তবে যে ঠিকাদার সংস্থা এই কাজের বরাত নিয়ে গড়িমসি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাজ। ইতিমধ্যেই ট্রমা কেয়ার-সহ চিকিৎসা ক্ষেত্রে জরুরি পরিষেবা দেওয়া বিভাগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বহু মানুষ প্রতিদিন এই হাসপাতালে আসেন ফলে যানবাহন পার্কিংয়ের সমস্যার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে বলে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুরনো আমলের এই স্ট্রাকচারের হাসপাতালে নতুন ভাবে কি করে বিল্ডিং তৈরি করা যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার এর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত। ফলে আগামী দিনে বিএন বসু হাসপাতালকে আরওআধুনিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে স্থানীয় বিধায়ক ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে, তবে সেই কাজ কত দিনে সম্পন্ন হয় এখন সেটাই দেখার।
রুদ্র নারায়ণ রায়