দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ঝাড়গ্রাম খড়গপুর রেললাইনের খেমাশুলিতে শুয়ে পড়ে রেল চলাচল সম্পূর্ণ আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বাতিল হয় বহু ট্রেন। শুধু রেললাইন নয়, ৫ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। রেল পরিষেবার পাশাপাশি সড়কপথও বন্ধ থাকায় একের পর এক বাস, ট্রাক, লরি, গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।
advertisement
বিগত দিন গুলির কথা মাথায় রেখেই আগাম মহড়াও চালায় রেল পুলিশ। আদিবাসী কুড়মি সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় মাহাতো বলেন, ‘ঝাড়খন্ডে আমাদের আন্দোলন পুরোপুরি সফল, পশ্চিমবঙ্গে আংশিক সফল। পুলিশ এবং প্রশাসন আমাদের হেনস্থা করছে এবং অন্যায়ভাবে আটক করছে। প্রত্যেকেরই আন্দোলন করার নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে। আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বা নিয়ে আন্দোলন করছি। আমরা হাইকোর্টকে মেনেই এ আন্দোলন করছি’।
কুড়মি জনজাতির ‘রেল টেকা’ ও ‘ডহর ছোঁকা’ কর্মসূচির প্রভাব নেই ঝাড়গ্রামে
ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘ঝাড়গ্রামে বাস ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলার বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় বসানো হয়েছে নাকা পয়েন্ট। বাঁকুড়া থেকে ঝাড়গ্রামে যারা আসছেন তাদের চেকিংও করা হচ্ছে, যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ কেউ লঙ্ঘন কেউ না করেন’।
ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব নামাতা বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় বেসরকারি বাসের তুলনায় সরকারি বাসের সংখ্যা একটু বেশি’। সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে লোক জনের সংখ্যা একটু বেশি হওয়ার কথা। কিন্ত অন্যান্য দিনের তুলনায় পথে সাধারণ মানুষের ঢলও কম। ঝাড়গ্রামের বিনপুরের এক দোকানদার রঞ্জিত মাহাতো বলেন, ‘আজ গাড়িঘোড়া রাস্তায় তুলনামূলক কম চলছে। লোকজনও সেভাবে আসেনি তাই বিক্রি বাটাও কম’।