LGBT Community: পুরুষ দেহে নারী সত্ত্বা! হাজারো প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়ে আজ সফল ব্যবসায়ী, রূপান্তরকামী সোনাই রূপটানে পারদর্শী

Last Updated:

LGBT Community: ঝাড়গ্রামের সোনাই। তিনি শারীরিকভাবে পুরুষ হলেও মানসিকভাবে ছিলেন নারী। রূপান্তরকামী হিসেবে তাঁকে অনেকেই কটাক্ষ বা কটুকথা বলতেন। তবে সোনাই আজ প্রতিষ্ঠিত, অন্বেষা বিউটি স্যালনের অন্যতম কর্ণধর তিনি।

+
ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম রূপান্তরকামী মহিলা সোনাই, চালাচ্ছেন বিউটি পার্লার

ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী: ঝাড়গ্রামের এমন এক নারী যিনি মনের ইচ্ছে ও নিজের সত্ত্বা বজায় রাখতে আপ্রাণ লড়েছেন সমাজের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকেই চায় সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে। কিন্তু আমাদের সমাজ কাউকে কাউকে সেই সুযোগ দেয় না। কেউ শারীরিকভাবে পুরুষ হলেও মনেপ্রাণে নারী, আবার কেউ নারী হয়েও মনে প্রাণে পুরুষ। তাঁরা রূপান্তরকামী। তাঁদের লড়াইটা একেবারেই তাঁদের, কেউই পাশে দাঁড়াতে চায় না, একমাত্র বাবা-মা ছাড়া। যেমন ঝাড়গ্রামের সোনাই। তিনি শারীরিকভাবে পুরুষ হলেও মানসিকভাবে ছিলেন নারী। রূপান্তরকামী হিসেবে তাঁকে অনেকেই কটাক্ষ বা কটুকথা বলতেন। সোনাই আজ প্রতিষ্ঠিত, অন্বেষা বিউটি স্যালনের অন্যতম কর্ণধর।
ঝাড়গ্রাম পাঁচমাথা মোড়ের কানাগলি মার্কেটে অন্বেষা বিউটি স্যালন আজ যথেষ্ট পরিচিত নাম। এটি ইউনিসেক্স স্যালন, তাই পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আসতে পারেন এখানে। তবে সোনাইয়ের জার্নিটা একেবারে সহজ ছিল না। রূপান্তরকামী হিসেবে সোনাইকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক যন্ত্রণা। সোনাইয়ের মা অন্বেষা নন্দী বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল এই বিউটি স্যালন খুলেছেন। পরিবারের অমতেই তিনি কলকাতা থেকে বিউটিশিয়ান কোর্স করেন। প্রথমে মানিকপাড়া এলাকায় ছোট্ট বিউটি পার্লার খুলেছিলেন, এরপর ধাপে ধাপে নামডাক হয়। বর্তমানে কানাগলি মার্কেটে বড় করে অন্বেষা বিউটি স্যালন খোলেন অন্বেষাদেবী। মেয়ের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সমাজ ও পরিবারের অনেক কটুকথা সহ্য করেছেন, তবুও দমে যাননি। আজ মেয়েকেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পশুদের শিং দিয়ে চিরুনি! বাঁশের চিংড়িমাছ! রাজ্যের কোথায় তৈরি হচ্ছে এসব ‘আজব’ জিনিস? রফতানি হচ্ছে বিদেশেও
ছোট থেকে পুরুষ হিসেবেই বড় হয়েছে সোনাই। কিন্তু মনেপ্রাণে নিজেকে নারী ভাবতেন তিনি। চাইতেন নিয়মিত চিকিৎসা ও অস্ত্রপচার করে পুরুষ থেকে নারী হবেন। রূপান্তরকামী হিসেবে তাঁর লড়াই ছিল সমাজের সঙ্গে। আজ নিজের লড়াইয়ে জিতেছেন সোনাই। তাঁর কথায়, রূপান্তরকামী হিসেবে তিনি গর্বিত এই শারীরিক ও মানসিক মেলবন্ধনের জন্য। সেই সঙ্গে গর্বিত তাঁর বাবা ও মায়ের জন্য। প্রায় তেরো চোদ্দো বছর বিউটিশিয়ানের কাজ করছেন সোনাই। প্রথমদিকে পুরুষ হয়েই কাজ করতেন। এরপর অস্ত্রপচারের পর পুরোদস্তুর নারীতে রূপান্তরিত হন তিনি। সোনাইয়ের কথায়, সেই সময় বহু কাস্টমার তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সকলেই ফিরে আসেন অন্বেষা বিউটি স্যালনে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ পর্যটকদের মনোরঞ্জনে লোকসংস্কৃতি পরিবেশন করে মাথা পিছু জোটে ৫০ টাকা! সংসার চলবে কী করে? ‘বড়’ আশ্বাস গ্রাম পঞ্চায়েতের
আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ভারত চন্দ্র বিজয় করেছে। বিজ্ঞানের উন্নতির ধ্বজা তুলে ধরেও কুসংস্কার থেকে। কিন্তু তাও নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি অনেকে। রূপান্তরকামীরাও যে মানুষ, তাঁদের নিজস্ব চাওয়া পাওয়া ও পছন্দ আছে সেটাই অস্বীকার করেন কেউ কেউ। তাই রূপান্তরকামীদের আজও অনেক লাঞ্ছনা গঞ্জনা সহ্য করতে হয়। কিন্তু অন্বেষা দেবী ও সোনাইয়ের মতো মানুষরা সব গঞ্জনার জবাব দিয়েছেন। রূপান্তরকামী হয়েও তাঁরা আজ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
LGBT Community: পুরুষ দেহে নারী সত্ত্বা! হাজারো প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়ে আজ সফল ব্যবসায়ী, রূপান্তরকামী সোনাই রূপটানে পারদর্শী
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement