এছাড়াও কৃষিকাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আবহাওয়া বা জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্যাদি। এসব নিয়ে ভাবনা থেকেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে ও প্রখ্যাত বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের প্রচেষ্টায় ১৯৩০ সালে গড়ে ওঠে ‘শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতর’, যা দক্ষিণবঙ্গের জন্য আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এই মাসেই তার ৯৫ বছর পূর্তি।
advertisement
পুরনো নথিপত্র ঘাটলে জানা যায়, উদ্বোধনের দিন শান্তিনিকেতনে ছিলেন না কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। আইনস্টাইনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য জার্মানি গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকেই শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতর প্রতিষ্ঠার বীজ বপন হয়েছিল। সেই সময় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি ছিল খরাপ্রবণ ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চল৷ তাই আগাম সতর্কতার জন্য শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতরের ভূমিকা আজও এক ধাপ এগিয়ে।
১৯২৪ সাল থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা ছিলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। সেই সময় তাঁর স্ত্রী নির্মলাকুমারী দেবী, যিনি ‘রানি মহলনবিশ’ নামে পরিচিত, তাঁর আতিথেয়তায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশ কয়েকবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরে গিয়েছেন ও থেকেছেন।
এই আলিপুর আবহাওয়া দফতরে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছেন কবিগুরু। শুধুই কী তাই, তিনি পেয়েছিলেন সম্মাননাও। রচনা করেছেন বেশকিছু কবিতা৷ জানা গিয়েছে, এই সময় শান্তিনিকেতনে আবহাওয়া দফতর প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল কবিগুরুর৷ পরবর্তীতে শান্তিনিকেতনে এসে বেশকিছুদিন কাজ করেছেন প্রশান্তচন্দ্র মহলনবিশ। তিনি এক সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আপ্ত সহায়ক ছিলেন।
সৌভিক রায়