মহিলা শিল্পীর হাতের কাজ দেখে তাই এখন বহু ক্রেতাই নিজেদের বাড়ি বা ঠাকুর ঘরে পুজোর জন্য দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত দিয়েছেন এই মহিলা শিল্পীর কাছে। মাটির বদলে, বিশেষ সুপার ক্লে ব্যবহার করেই মোনালিসা দিচ্ছেন এই প্রতিমাগুলির রূপ। শুধু পুজো নয়, ঘর সাজানোর উদ্দেশেও অনেকেই কিনছেন তাঁর প্রতিমা। ইতিমধ্যেই তাঁর তৈরি এই দুর্গা প্রতিমা ও অন্যান্য মূর্তি জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের নানা প্রান্তেও পৌঁছে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘বাঁশ’ নিয়ে বাঙালির হাসি মশকরার শেষ নেই! তবু আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর কন্যা মোনালিসা ছোটবেলা থেকেই আঁকা ও হাতের কাজের প্রতি বিশেষ অনুরাগী। মা গৃহিণী। তবে মেয়েকে সবসময় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য উৎসাহ জুগিয়েছেন। প্রায় সাত-আট বছর আগে থেকে তিনি এই শিল্পকে পেশা হিসেবে গড়ে তোলার পথে নামেন। নিজের বাড়ির একটি ঘরকে তিনি সাজিয়েছেন শিল্পকলা স্টুডিও হিসেবে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে মা দুর্গা, গণেশ, জগন্নাথসহ নানা ধরনের ছোট মূর্তি। প্রতিটি প্রতিমার দাম দেড় থেকে দু’হাজার টাকার মধ্যে।
আরও পড়ুন : চোখে আলো নেই, তবু মনে উৎসবের আনন্দ! ব্লাইন্ড স্কুলে খুশির আতশবাজি! কারা করল আয়োজন
এবছর প্রায় ছ’টি দুর্গা প্রতিমা তিনি তৈরি করেছেন। যা রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও পাঠানো হবে। এদিন তাঁকে দেখা যায় শিলিগুড়ির এক ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করতে। শিল্পী মোনালিসা জানান, শুধু প্রতিমা নয়, বিভিন্ন স্কুলের প্রোজেক্ট ও হাতের কাজের অলংকার তৈরিতেও দক্ষ তিনি। আগামী দিনে তিনি চান, এই শিল্পকে আরও বড় করে তুলতে। এমনকি হাতের কাজের একটি স্কুল খোলার স্বপ্ন রয়েছে বারাসাতের এই মহিলা শিল্পীর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিজের শিল্পীসত্ত্বার জোরেই আজ অনেকটা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন মোনালিসা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার এই ছোট পুতুল দুর্গা প্রতিমা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে এবার বারাসাতের এই মহিলা শিল্পীর হাতে তৈরি ছোট দুর্গা প্রতিমায় হবে দেবী বন্দনা। আর তার এই শিল্প সৃষ্টির মধ্যে দিয়েই বারাসতের নাম বিস্তর পরিসরে ছড়িয়ে পড়ছে। যা এলাকার মানুষদের কাছেও গর্বের বিষয়।