ইতিপূর্বে গত ৩১ জুলাই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার প্রথম শুনানি হয়। বিচারপতি পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাই তিনি সেদিন দেহটি সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও বিষ্ণু কুমারের কেস ডায়েরি তলব করেছিলেন। সোমবার আড়ষা থানার দুই পুলিস আধিকারিক বিচারপতির এজলাসে হাজির হন। তাঁরা কেস ডায়েরি জমা দেন। তারপরই বিচারপতি দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ কৃষক! পরদিন মিলল দেহ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
এ বিষয়ে বিষ্ণু কুমারের ভাই সমন কুমার বলেন , সকলেই জানেন তাঁর দাদাকে মারধর করে মারা হয়েছে। কিন্তু পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করা রয়েছে। এই পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে গন্ডগোল রয়েছে বলে তার মনে হয়েছিল। সেই কারণেই দ্বিতীয়বার পোস্টমর্টেমের জন্য তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বিষয়ে আড়ষা ব্লকের বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি পার্থসারথি মাহাতো বলেন, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য বিচারক যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। আমরা চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উল্লেখ্য, মোবাইল চুরির অভিযোগে গত ১৬ জুলাই আড়ষার বাসিন্দা বিষ্ণু কুমারকে (৩৪) থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৯ জুলাই যুবকের মৃত্যু হয়। ২০ জুলাই দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু প্রথম শুনানিতেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তারপরেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানায় পরিবার , আর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক তীর্থঙ্কর ঘোষ তাতেই শিলমোহর দিয়েছেন।