পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের তরুণী ফুটবলার রজনী বাউরি, মৌসুমী মাণ্ডিরা বলেন, “ছেলেদের থেকে আমরা মেয়েরাও কোনও অংশে কম নয়। আমরাও পারব ফুটবল খেলায় নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে।”
আরও পড়ুনঃ মনসা পুজোয় মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের! ব্যবসায় ‘চরম’ মন্দা, কেন এমন দুর্দশা? শুনুন কী বলছেন তারা!
একসময় জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে সন্ধ্যে নামলে কেবল শোনা যেত ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, মাটির কুড়ে ঘরে মায়ের হাঁড়ি, খুন্তির শব্দ। কিন্তু এখন সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে। গ্রামের মাঠে এখন শোনা যায় ফুটবল পায়ে মেয়েদের হাঁপ ধরা দৌড়, কোচের চিৎকারে গলা ফাটানো নির্দেশ, আর সেই বলটাকে গোলে পাঠাতে চাওয়ার একরাশ স্বপ্ন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মরেও ‘শান্তি’ নেই এখানে! ভরা বর্ষায় খোলা আকাশের নীচে দেহ দাহ, কোথায় এমন দুর্ভোগ জানেন?
এই পরিবর্তনের পিছনে আছে মেয়েদের সাহস এবং তাদের অদম্য জেদ। তারা প্রমাণ করেছে ফুটবল কেবল ছেলেদের খেলা নয়, এটা ভালবাসার খেলা। আর ভালবাসায় তো পুরুষ-মহিলার ভেদাভেদ হয় না।
তরুণী ফুটবলারদের কথায়, “একজন মেয়ে হয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে সমাজের নানা রকম কথা শুনতে হয়। অনেক সময় কটূক্তি, অনেক সময় অবজ্ঞা। সব কিছুই কানে আসে। কিন্তু এসব কথায় কান দিলে চলবে না। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট, নিজের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সমাজ কী বলছে সেটা নয়, আমি কী করতে চাই সেটাই আসল।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিজেদের দক্ষতা আর পরিশ্রমের জোরে আজ এই তরুণী ফুটবলাররা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্য ও দেশের ময়দানে নিজেদের প্রতিভার ছাপ রাখার স্বপ্ন দেখছে। গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলেরা যেমন একদিন দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিল, তেমনি আজ সেই গ্রাম থেকেই উঠে আসছে প্রতিভাবান মেয়েরা, যারা বল পায়ে ছুটে চলেছে সীমার বাইরে, বাঁধার উর্ধ্বে।