স্কুলের সাদা জামা, সবুজ ধুতি, মাথায় পাগড়ি ও সঙ্গে ময়ূরপাখার সাজে সজ্জিত এই ছোট্ট নৃত্যশিল্পীদের দৃষ্টিনন্দন রূপ সহজেই সবার মন কেড়ে নিচ্ছে। হাতে ধামসা-মাদল নিয়ে তাঁরা যখন নৃত্য করে, তখন তাঁদের পরিবেশনা আদিবাসী সংস্কৃতির এক অনন্য আলোকে রূপ পায়।
আরও পড়ুনঃ উত্তরের জেলার থেকেও দক্ষিণের জেলায় শীতের কামড় জোরালো, হাওয়া অফিস দিল শৈত্যপ্রবাহের অ্যালার্ট
advertisement
শিকার কুহু আদিবাসী মিশনের শিক্ষিকা কাজলী হাঁসদা বলেন, “পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই আমরা ওঁদের ‘রিঞ্জা’ নাচের প্রশিক্ষণ দিই। আমাদের মাতৃভাষায় সম্পূর্ণ গান পরিবেশিত হয়। এর ফলে বাচ্চারা যেমন নিজের ভাষা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারছে, তেমনই আমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যেও সমান দক্ষ হয়ে উঠছে। আমার মনে হয়, প্রতিটি আদিবাসী স্কুলেই এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত। যাতে ছোট থেকেই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের ভাষা এবং ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিশুদের এই অসাধারণ পরিবেশনা শুধু দর্শকদের আনন্দ দেয় না, একই সঙ্গে জাগিয়ে তোলে নিজের শিকড়, ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালবাসা। আদ্রার সাঁওতালি মিডিয়ামের এই ছোট্ট স্কুলের খুদে নৃত্যশিল্পীরা তাই আজ হয়ে উঠেছে আদিবাসী সংস্কৃতির গর্বিত দূত।





