সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ‘কাঠের পুতুল’ শিল্পকে পুনরায় জীবিত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এর ফলে শুধু একটি হারিয়ে যেতে বসা শিল্পই নয়, বরং এলাকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যও আজ নতুন করে স্বীকৃতি পাচ্ছে। বাংলায় মাটির পুতুলের পরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পুতুল তৈরির মাধ্যম হল কাঠ। এই কাঠের পুতুলগুলোর প্রতিটি অঞ্চলে নিজস্ব ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: জমিতে বিষ, শত শত পাখির অকালে প্রাণ গেল জলপাইগুড়িতে! চাঞ্চল্য এলাকায়, কড়া পদক্ষেপের পথে বন দফতর
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার অনেক গ্রামে নিজস্ব ঘরানায় কাঠের পুতুল তৈরির প্রচলন ছিল। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের সেনেড়া গ্রাম এমনই এক ঐতিহ্যের ধারক, যেখানে গ্রামের সূত্রধর শিল্পীরা বংশপরম্পরায় নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ দান করতেন এই কাঠের পুতুলগুলিতে। এক সময় এই অঞ্চলের বিখ্যাত ‘খেলাইচণ্ডী মেলা’-কে কেন্দ্র করেই এই পুতুলের বিকাশ ও প্রসার ঘটেছিল। মেলার আনন্দ এবং লোক-ঐতিহ্যের সঙ্গে এই উজ্জ্বল লাল-হলুদ রঙের লম্বাটে কাঠের পুতুলগুলো যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে একসময় লুপ্তপ্রায় হয়ে যাওয়া সেই কাঠের পুতুলকে আজ নতুন করে প্রাণ দিয়েছেন শিল্পী লোটন সূত্রধর। তাঁর একক প্রচেষ্টা, পারিবারিক উত্তরাধিকার ও আধুনিক উদ্যোগের মেলবন্ধনে সেনেড়া গ্রামের কাঠের পুতুল আবার ফিরে পাচ্ছে তার হারানো গৌরব, লোকসংস্কৃতির মানচিত্রে নতুন করে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে এক প্রাচীন শিল্পের নাম।





