আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতার উৎসবে মুখে উঠুক তিরঙ্গা মিষ্টি! বাংলার এই দোকানে মৌমাছির মতো ভিড় করছেন গ্রাহক
দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি পুরুলিয়াতে চালাচ্ছেন রোটি ব্যাংক। যার মাধ্যমে তিনি প্রত্যেকদিন পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সদর ক্যাম্পাসের শতাধিক মানুষের মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করেন। যে সমস্ত দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ হাসপাতালে আসেন তাদের মুখে খাবার তুলে দেন তিনি। এ বিষয়ে সুলভ বুঁদিয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের সেবা করতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যেই তাঁর এই কর্মকাণ্ড।
advertisement
প্রতিদিন তিনি প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। মনের জোর থাকলে সমস্ত কিছুই সম্ভব, এমনটাই মনে করেন তিনি। পরিবারের ও রোটি ব্যাংক টিমের যথেষ্ট সহযোগিতা পান তিনি। স্বামীর এই কর্মকাণ্ডে পাশে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত বলে মনে করেন সুলভ বুঁদিয়ার স্ত্রী মিতালী মুর্মু। সুলভবাবুর এই উদ্যোগে অনেকটাই উপকৃত হন পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজন ও অসহায় মানুষজন। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রোটি ব্যাংক পুরুলিয়া গ্রুপে রয়েছে ১৩০ জন সদস্য। তাদেরকে নিয়েই প্রতিনিয়ত সুলভ বুঁদিয়ার চলে এই কর্মযজ্ঞ। শুধু খাবার বিতরণ নয় পুরানো জামা কাপড় সংগ্রহ করে বিতরণ করা, বাচ্চাদের পড়াশোনার সামগ্রী বিতরণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, অপচয় হওয়া খাবার সংগ্রহ করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ, হুইল চেয়ার বিতরণ, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প , বিনা পয়সার পাঠশালা এই সমস্ত কিছু করে চলেছেন তিনি।
সরকারি কোনও অনুদান পান না তারা। সকলের সহযোগিতায় ও দানের মাধ্যমে চলে এই সংগঠন। আগামী দিনে এই ভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন পুরুলিয়ার সুলভ বুঁদিয়া।