আরও পড়ুনঃ অবৈধ ‘আবাস’ নির্মাণ! প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে মারধর, শ্লীলতাহানি! তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মহিলা
ওই গ্রামের মোট আটজন শ্রমিক একসঙ্গে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলেন। সোমবার তারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে সেখান থেকে আট জনের মধ্যে গপু ওরফে নন্দলাল ঘাটুয়ালকে (প্রায় ৫০) গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মিঠুন ওরফে সন্তোষ ঘাটুয়াল সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গপুর দেহ ময়নাতদন্তের পর অ্যাম্বুলেন্সের করে নোওয়াডি গ্ৰামে এসে পৌঁছায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কচুরিপানার ঝোপ থেকে উদ্ধার দু’দিন ধরে নিখোঁজ টোটো চালকের দেহ! জলে পচে বীভৎস চেহারা
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গপু ঘাটুয়াল প্রায় আট থেকে নয় বছর ধরে চেন্নাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর দুটি পুত্র এবং দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে আচমকায় তাঁর দেহ উদ্ধার ঘিরে যথেষ্ট রহস্যের দানা বেঁধেছে পরিবারের মনে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক বসন্ত ঘাটুয়াল বলেন, তারা কাজে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই ফিরে দেখেন নন্দলাল ঘাটুয়াল ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগান অবস্থায় রয়েছেন। তৎক্ষনাৎ তারা পুলিশে খবর দেন। চেন্নাই পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এর পাশাপাশি আরও এক শ্রমিক মিঠুন ওরফে সন্তোষ ঘাটুয়াল নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রামে ফেরেনি।
এই ঘটনার পর গ্রামের লোকজন অনেকটাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের বাড়ি ফেরার নিদান দিয়ে মাসে ৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে শ্রমিকের এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে গেল। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।