রাজ্যের পালা বদলের পর শৌচালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয় জোড়-কদমে। তবে পুরুলিয়া জেলায় সেই কাজ খুবই ধীর গতিতে এগোতে দেখা যায়। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের নিরিখ দেখা গিয়েছে ঘরে, ঘরে শৌচালয়ে পুরুলিয়ার অবস্থান বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের একমাত্র সূর্য মন্দির রয়েছে শিলিগুড়িতে! দেখুন ভিডিও
advertisement
বিগত অর্থবর্ষে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন একটি সমীক্ষায় জানতে পারে বর্তমানে পুরুলিয়া জেলার ৯১% পরিবারে শৌচাগার রয়েছে। কিন্তু সেই শৌচাগার সমস্ত পরিবারগুলি ব্যবহার করে কিনা তা নিয়ে যথেষ্টই প্রশ্ন রয়েছে জেলা প্রশাসনের মধ্যে। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলার জেলাশাসক রজত নন্দা বলেন , “বাড়িতে থাকা শৌচালয় ব্যবহার করতে হবে। কোনভাবেই মাঠে যাওয়া যাবেনা। মাঠের গিয়ে শৌচকর্ম করা মানেই পরিবেশকে দূষিত করা।”
আরও পড়ুন: ছট পুজোর আগে এই বিশেষ ডিজাইনের ঠেকুয়ার ছাঁচ কিনতে উপচে পড়ছে ভিড়! কোথায় মিলছে জানুন
রুক্ষ জেলা পুরুলিয়াতে পানীয় জলের সংকট বরাবরের। শৌচালয়তেও জলের সরবরাহ না থাকার কারণে অনেকেই এখনও পর্যন্ত মাঠে যান। কিন্তু বর্তমানে শৌচালয় গুলিতে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সত্ত্বেও শৌচালয় ব্যবহার করতে দেখা যায় না অনেককে। সচেতনতার অভাব আজও রয়েছে জেলার মানুষদের মধ্যে। শৌচালয় ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুলভাবে প্রচার করা হয়েছে তারপরও এই পরিস্থিতি যথেষ্টই ভাবাচ্ছে জেলা প্রশাসনকে।
এর দায়িত্বে থাকা পুরুলয়া জেলা পরিষদের উপসচিব জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “যে সমস্ত বাড়িগুলিতে আমরা স্পেশ্যাল ড্রাইভ করলাম সেখান থেকে যাদের শৌচাগার নেই তাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শুক্রবার ছিল আবেদনপত্র সংগ্রহের প্রথম দিন। সেই দিন ৩৪৯১ গুলি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তারই নিরিখে ১৯ শে নভেম্বর ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে-এর দিন এই আবেদনের উপর ভিত্তি করে শৌচাগারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে।”
পুরুলিয়া জেলার ১৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২২০ টি শিবির করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন করার ব্যবস্থা রয়েছে শৌচাগার নির্মাণের জন্য। এক কথায় পরিবেশের সচেতনতার কথা চিন্তা করে সমস্ত দিক থেকেই জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি