মাঝে মাঝে পাখির ঠোকরে মৌমাছিদের উড়ে বেড়াতে দেখাও পাওয়া যেত। সেই নিঃশব্দ বিপদ যে একদিন প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে, তা শীতলবাবু কখনও ভাবতেও পারেননি। শীতল মিশ্রের ভাই তপন মিশ্র জানান, “অন্যান্য দিনের মতই দাদা এদিনও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ খবর পাই, স্থানীয় সিমলা জোড়ের কাছে রাস্তার ধারে মৌমাছির হুলে দাদাকে গুরুতর কামড় দিয়েছে। দ্রুত সেখানে পৌঁছে দেখি, দাদার পুরো শরীরজুড়ে হুলের দাগ, মুখ, গলা, চোখ ফুলে উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাঁচার তাগিদে বাঘের সঙ্গে মরণপণ লড়াই, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না! কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর
এমনকি তাঁর জামার ভেতরেও কয়েকটি মৌমাছি আটকে ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় দাদাকে দ্রুত কাশীপুর কল্লোলী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। অন্যদিকে কাশীপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীমা মোই জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শীতল বাবুর মৃত্যু হয়। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুমান করছি মৌমাছির হুলে দেহে বিষ প্রবেশ করে দ্রুত রক্তচাপ কমে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শীতল বাবুর।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৌমাছির হুলে শরীরে বিষ ঢোকে, যা রক্তনালী ও কণিকাকে ফুলিয়ে তোলে। ফলে এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা না পেলে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে যায়।” হঠাৎ এই মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শীতল মিশ্রের পরিবারসহ সিমলা গ্রামে। নিয়মিত সকালবেলার হাঁটায় যিনি সকলের পরিচিত মুখ ছিলেন, তার এমন মর্মান্তিক পরিণতি এলাকাবাসীকেও হতবাক করে দিয়েছে।






