আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত ঢোল-ধমসা-মাদল। যুগ যুগ ধরে মূলত এই সমস্ত বাদ্যযন্ত্রের তালে ভর করেই এগিয়ে চলেছে রাঢ়বঙ্গের লোকোসঙ্গীত। তবে এই সমস্ত বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতে অনেকটাই পরিশ্রম করতে হয় গ্রামের কারিগরদের। একটা বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। অথচ পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক সেই অর্থে কিছুই মিলে না তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতের কাছেই সেই জায়গা, যেখানে মাতঙ্গিনী হাজরা ‘জীবন্ত’! ঘুরতে গিয়েও অনেকেই অজান্তে করে ফেলেন মিস
অন্যদিকে বর্তমান সময়ে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের দাপটে এই সমস্ত বাদ্যযন্ত্র অনেকটাই এখন কোণঠাসা। ফলে একদিকে যেমন ঢোল-ধমসা-মাদলের ক্রেতাও কমেছে তেমনই অন্যদিকে আয়ও কমেছে পাল্লা দিয়ে। তাই গ্রামের বেশিরভাগ লোকজনই এখন ছেড়ে দিচ্ছেন পূর্বপুরুষদের এই পেশা। কোনও রকমে গ্রামের কিছুজন এই বাদ্যযন্ত্র তৈরির পেশায় আজও টিকে আছেন। ফলে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের দাপটে এই শিল্পও এখন অনেকেটাই বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। এমনই দেখা গেল পুরুলিয়ায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে পুজো পার্বণে গ্রামের কারিগরদের কদর বাড়ে। বাদ্যযন্ত্রের নানা ধরনের কাজ পান তারা। আর এই সময়টাতে জেগে ওঠে পুরো গ্রাম। ঢোল-ধমসা-মাদল বাদ্যযন্ত্রের শব্দ ভেসে আসে বাড়িতে বাড়িতে।