আজ সেই ট্রাই সাইকেলই তার রুজি রোজগারের একমাত্র ভরসা। নিজের হাতে ঝুড়ি তৈরি করে ওই ট্রাই সাইকেলে করে মরগুমা জলাধারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। কারণ তার স্ত্রীও বিশেষভাবে সক্ষম। সংসারে রয়েছে দুই ছেলে দুই মেয়ে। মোট ছয়জনের সংসার এই ভাবেই প্রতিপালন করছেন তিনি। ধীরেন প্রমাণ করে দিয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা যায় মনের জোরে।
advertisement
এ বিষয়ে ধীরেন কালিন্দী বলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী বিশেষভাবে সক্ষম। কোনওরকমে সংসার চলে তাদের। সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা পান তিনি। বাঘমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো তাকে একটি ট্রাই সাইকেল দিয়েছিলেন। এই ট্রাই সাইকেলে করে মুরগুমা জলাধার ও আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তিনি বাঁশের তৈরি জিনিস বিক্রি করেন। সেই অর্থ দিয়েই ছয় জনের সংসার চালান তিনি। বয়স হচ্ছে তার, তাই এখন বেশি দূর আর এই ট্রাই সাইকেল নিয়ে যেতে পারেন না তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি চান, যদি সরকারিভাবে তাকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা হয় তাহলে কোনও ব্যবসা করে তিনি সংসার চালাতে পারবেন। এর পাশাপাশি ইলেকট্রিক ট্রাই সাইকেলের আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। মনের জোর ও প্রবল সাহসিকতার জন্য বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও জীবন যুদ্ধে হার মেনে নেননি ধীরেন কালিন্দী। প্রতিটা দিন লড়াই করে জীবনে পথে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তার এই লড়াই বহু মানুষের অনুপ্রেরণা।





