প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সেমিস্টার পদ্ধতির সঙ্গে জঙ্গলমহলের পরীক্ষার্থীরা পরিচিত হয়ে উঠতে না পারায় ফল খারাপ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছেন। সেখানে জেলার প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
এই বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক শিক্ষা) মহুয়া বসাক বলেন, এই প্রথমবার সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে। সেই কারণে সম্ভবত কিছুটা হলেও ফলাফল হতাশাজনক। যদিও এটি সম্পূর্ণ রেজাল্ট নয়। ফাইনাল রেজাল্ট পরবর্তীতে বেরোলে তা বোঝা যাবে। এই নিয়ে আমরা দ্রুত পর্যালোচনা বৈঠকে বসব। মেধাতালিকার নিরিখে এই জেলা অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংসদ সূত্রে খবর, তৃতীয় সেমিস্টারে রাজ্যে মোট ৯৩.৭২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে পুরুলিয়া জেলায় মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৭৭ জন। তবে পরীক্ষা শেষে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৮৮.৫৫ শতাংশ পাশ করেছেন। পাশের হারের নিরিখে রাজ্যস্তরে পুরুলিয়া পিছনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিষয়টি জেলার শিক্ষামহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। পরবর্তীতে এই রেজাল্ট কীভাবে ভালো হয়, কীভাবে রাজ্যের মেধা তালিকার পাশাপাশি জেলার পাশের হার বৃদ্ধি পায় তা নিয়ে তৎপর জেলা শিক্ষা দফতর।






