Purulia: বাঘমুন্ডির সিভিক ভলান্টিয়ারের শিল্পী সত্ত্বায় মুগ্ধ জঙ্গলমহল! ললিতের বাহারি ছৌ মুখোশ চোখ টানছে পর্যটকদেরও, বছর শেষে ধরা দেন মা লক্ষ্মী

Last Updated:

Purulia: বাঘমুন্ডির সিভিক ভলান্টিয়ার ললিত সূত্রধরের শিল্পী সত্তায় মুগ্ধ জঙ্গলমহল। ডিউটির পাশাপাশি তাঁর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পাচ্ছে ছৌ মুখোশ। দুর্গা, মহিষাসুর, কার্তিক, গণেশ, কথাকলি, কৃষ্ণ, সমস্ত মুখোশ দেখতে পাওয়া যায় তার দোকানে।

+
ছৌ

ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করে জঙ্গলমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিভিক ভলান্টিয়ার

বাঘমুন্ডি, পুরুলিয়া, শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি: রোদ, জল ,ঝড়, বৃষ্টি – যাই হোক না কেন সারা বছর নিজেদের কর্তব্যে অনড় থাকেন পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক তথা সিভিক ভলান্টিয়াররা। নিয়মের একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই কড়া চোখ রাঙানি থাকে তাদের। তবে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির ব্লকের চড়িদা গ্রামের  সিভিক ভলান্টিয়ার ললিত সূত্রধরকে দেখা যায় একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্রে। একাধারে তিনি  সিভিক ভলান্টিয়ারের ডিউটি করেন, অপরদিকে নিজ হাতে গড়েন পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ মুখোশ।
দুর্গা, মহিষাসুর, কার্তিক, গণেশ, কথাকলি, কৃষ্ণ, সমস্ত মুখোশ দেখতে পাওয়া যায় তার দোকানে।  রীতিমতো তার হস্তশিল্প নজর কেড়েছে সমস্ত মহলে। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি মুখোশ তৈরি করছেন। ২০১৩ সালে তিনি সিভিকের ডিউটি জয়েন করেন।  প্রায় ১২ বছর ধরে পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছেন তবুও তার শিল্পী সত্ত্বাকে তিনি বিসর্জন দেননি। মর্নিং ডিউটি থাকলে বিকালের পর আর নাইট থাকলে সারাদিন ধরে তিনি মুখোশ গড়েন। সিভিকের ডিউটির ফাঁকে তার হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি রঙবাহারি মুখোশ চোখ টানছে পর্যটকদেরও।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দৌড়ে পার করেছেন সমস্ত প্রতিকূলতা! কুঁড়ে ঘর থেকে জাতীয় স্তরে, সচিন তেন্ডুলকরের হাত থেকে পুরস্কার নেওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার নির্মল মাহাতো ক্রীড়া জগতের অনুপ্রেরণা
এ বিষয়ে মুখোশ শিল্পী তথা সিভিক ভলান্টিয়ার ললিত সূত্রধর বলেন, বংশ পরম্পরায় তাদের এই মুখোশ শিল্প। তিনি ছোটবেলা থেকেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সিভিকের ডিউটি সামলানোর পাশাপাশি যতটুকু সময় থাকে সেই সময়টুকু তিনি মুখোশ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। প্রতি মাসে ভাল পরিমাণে মুখোশ বিক্রি হয় তার। তিনি চান পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা যাতে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ এ যেন খাজা-বাতাসার পাহাড়! বোল্লা পুজোয় নাওয়া-খাওয়া ভুলে ভোগ তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা, ৪ দিনের মেলার আগে মহাযজ্ঞ
এ বিষয়ে চড়িদা গ্রামের এক বাসিন্দা প্রশান্ত দত্ত বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই ললিত বাবুকে দেখছেন। যেভাবে সে সিভিকের গুরুদায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মুখোশ শিল্পকে বজায় রেখেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে খুবই গর্বিত তিনি। তিনি চান আগামী দিনে আরও উন্নতি করুক ললিত বাবু। তাদের গ্রামের গর্ব তিনি।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সিভিক ভলান্টিয়ার ললিত সূত্রধরের তৈরি মুখোশ শুধু গৃহস্থে সাজানো নয়। বিভিন্ন অতিথি আবাস এবং সরকারি দফতরেও জ্বলজ্বল করছে। বছরে প্রায় তিন লক্ষ টাকার কাছাকাছি মুখোশ বিক্রি করেন তিনি। আগামী দিনে এই ভাবেই সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের শিল্পী সত্ত্বাকে রাখতে চান ললিতবাবু।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Purulia: বাঘমুন্ডির সিভিক ভলান্টিয়ারের শিল্পী সত্ত্বায় মুগ্ধ জঙ্গলমহল! ললিতের বাহারি ছৌ মুখোশ চোখ টানছে পর্যটকদেরও, বছর শেষে ধরা দেন মা লক্ষ্মী
Next Article
advertisement
'বন্ধু, রহো সাথে...' চোখের ঈশারাতেই ২৩ বছর পার! বুলি ফোটে না, তবু 'কথা' দিয়ে 'কথা' রেখেছেন উত্তম-উজ্জ্বলা
'বন্ধু, রহো সাথে..' চোখের ঈশারায় ২৩ বছর পার! বুলি ফোটে না, তবু কথা দিয়ে কথা রেখেছেন দম্পতি
  • ২৩ বছর ধরে কথা না বলেও ইশারায় সংসার চালাচ্ছেন উত্তম ও উজ্জ্বলা

  • শিলিগুড়িতে চা-বিস্কুট বিক্রি করে

  • প্রেম ও পাশে থাকার এ এক অনন্য নজির

VIEW MORE
advertisement
advertisement