পুরুলিয়া শহরের দুলমি ফট্টি কোয়াটার এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ। স্ত্রী চৈতি ঘোষ ও ছেলে অরিত্র ঘোষকে নিয়ে ভালই কাটছিল জীবন। ছেলে অরিত্র তথা বাবান ছিল উদীয়মান ক্রিকেটার। ছেলেবেলা থেকেই মুখ ও বধির হওয়া সত্ত্বেও ক্রিকেটের ছিল তার অসীম দক্ষতা। কথা ছিল ২০২৩ সালে ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে মাঠে নামার। কিন্তু সেই বছরই থমকে গেল তার জীবন। দিনটা ছিল ৩১ অক্টোবর ২০২৩।
advertisement
এই দিন সকালে ধানবাদ জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের পুরুলিয়ার নডিহা জিমনাস্টিক ক্লাবের কাছে একটি বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় অরিত্র তথা বাবান। তার চিকিৎসার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়। টানা চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছিল ঘোষ পরিবার। তারপর থেকেই বাবানের নামে বিভিন্ন সামাজিক কার্যকলাপ করে থাকেন সঞ্জয় বাবু। এবার তার ছেলে বাবানের নামে তৈরি হল শিশু উদ্যান।
আরও পড়ুন : ভাল ফলন পেতে হবে আম-লিচুতে! অসম থেকে মালদহে হাজির ২৫ চাষি, নিলেন বড় প্রশিক্ষণ
এই উদ্যান তৈরি করতে সমস্ত দিক থেকেই সহযোগিতা করেছে পুরুলিয়া পৌরসভা ও দুলমির নডিহা রিক্রিয়েশন ক্লাব। এ বিষয়ে সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ছেলেকে তো আর কোনওভাবেই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ছোট ছোট শিশুদের মধ্যেই নিজের ছেলেকে খুঁজে নেবেন তিনি। বাবান না থেকেও সকলের মধ্যে রয়ে যাবে। তাই বাবানের নামে এই পার্ক তৈরি করা হল। পরবর্তীতে বাবান ক্রিকেট একাডেমি ও ও বাবান চেরিটেবল ডিসপেন্সারি করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা মৌসুমী ঘোষ বলেন, বাবান সকলের মধ্যেই বেঁচে রয়েছে। তাই তার যা যা ইচ্ছা ছিল সেগুলোই আমরা পূরণ করার চেষ্টা করছি। সঞ্জয় বাবুর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। উদীয়মান ক্রিকেটার অরিত্র ঘোষ তথা বাবানের মৃত্যু যেন আজও কেউ ভুলতে পারেনি। সামান্য সচেতনতার অভাবে অকালে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। তবুও ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাবা।





