এই বিষয়ে স্থানীয় এক নৌকা মাঝি জানিয়েছেন,”প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনও সাহায্য পাইনি। সেকারণে নৌকা মাঝিদের নিয়ে একটা মিটিং করা হয়েছে। আমরা মাঝিরা সবাই কিছু কিছু করে চাঁদা দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করব। যাতায়াতের রাস্তা করলে পর্যটকদের নৌকা করে পাখি দেখাতে নিয়ে যেতে অনেক সুবিধা হবে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা কাজ শুরু করব।” প্রসঙ্গত গতবছরেও এই কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হয়েছিল মাঝিদের। যদিও এই কাজে পরবর্তীতে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করেছিল। প্রশাসনের তরফেও কচুরিপানা পরিষ্কার করার কাজ করা হয়েছিল। সেরকমই এবারেও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে কাজ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই জায়গায় ঘুরতে এসে বর্তমানে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের।
advertisement
নৌকা মাঝিদের রোজগারও একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সেকারণে দেরি না করে কচুরিপানা পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিলেন মাঝিরা নিজেরাই। এই জায়গার উপরেই নির্ভর করে থাকেন প্রায় ১০০ জন মাঝি। এই শীতের মরশুমে পর্যটকদের পরিযায়ী পাখি দেখিয়েই তাঁদের রোজগার হয়। রাজ্য তথা ভিন রাজ্য থেকেও পর্যটকরা বর্ধমানের এই জায়গায় ঘুরতে আসেন। কিন্তু বর্তমানে এখানকার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এই চুপিতেই আমাজন নামেও এক জায়গা রয়েছে। সকলের কাছে যা বাংলার আমাজন নামে পরিচিত। পর্যটকদের বেশ পছন্দের ওই জায়গা।
আরও পড়ুনঃ West Medinipur News: আপনি কি বিরিয়ানি লাভার? নাম মাত্র টাকায় আনলিমিটেড খান এখানে
কিন্তু সেই আমাজনেরও একই পরিস্থিতি। রাজ্য সরকার চুপির পাখিরালয়কে ঘিরে বড় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আর এই কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও পাল্টাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ছাড়িগঙ্গা কচুরি পানায় ভরে উঠেছে। সবশেষে এবছর এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য না মেলায় , উদ্যোগী হলেন মাঝিরা নিজেরাই।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী