আধুনিকতার যুগে নতুনের সঙ্গে পাল্লা না দিয়ে এখনও, একইভাবে তাঁর হাতের ছোঁয়ায় শোলার সাজেই যেন অন্য মাত্রায় পৌঁছায় বনেদি বাড়ির মাটির প্রতিমা। বর্তমানে জলজ উদ্ভিদ শোলার জায়গা নিয়েছে জরি, থার্মোকল, বিভিন্ন রঙের পুঁতি ইত্যাদি। তবে এখনও তিনি থার্মোকল নয় শোলার সাজেই জেলার পাশাপাশি কলকাতার বেশ কিছু নামী বনেদি বাড়িতে প্রতিমা সাজান। তিনি বলেন, ‘‘আমি বারোয়ারি প্রতিমা সাজাই না। বনেদি বা পুরানো আমলের সাবেকি প্রতিমা নিজে হাতে সাজাই। যে হাতে সাবেকি একচালের প্রতিমা সাজাই। সে হাতে আর নাইবা থাকল আধুনিকতার ছোঁয়া। আর শেখার কোনও ইচ্ছাও নেই । পুরানো নিয়েই যে কদিন চলে , এই পর্যন্তই।’’
advertisement
আরও পড়ুন – Get rid of mosquito in 5 minutes: ঘরোয়া উপায়েই ছুমন্তর মশা, দরকার নেই দামি দামি অল আউট থেকে গুড নাইট
একসময় ভাগীরথীর তীরে পূর্বস্থলীর পাটুলিতে শোলাশিল্পের বেশ নামডাক ছিল৷ কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে এখন কয়েক ঘর আর অবশিষ্ট রয়েছে শোলা শিল্পের৷ মোহন বাবু ছাত্র জীবন পার করেই,বাপ ঠাকুরদার হাত ধরে শোলাশিল্পের জগতে পা রাখেন। শিখে নিন শোলার বিভিন্ন কাজ। পরবর্তীতে কলকাতার বেশ কিছু বনেদি বাড়ি থেকে তাঁর ডাক পড়তে শুরু করে৷ দুর্গা থেকে কালী কোনওটাই বাদ যায় না তাঁর। তবে মোহন বাবু এখনও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক হতে পারেন নি। বর্তমানে সরকারি শিল্পী ভাতা পেলেও আর্থিক ভাবে তিনি খুবই দুর্বল। শুধুমাত্র কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি আজও কাজ করে চলেছেন।
এই প্রসঙ্গে মোহন বাবু আরও জানান,কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণেই এখনও পর্যন্ত কাজ করে চলেছি। যে যে বাড়িতে কাজের জন্য যায় , তারাও খুব ভালোবাসেন। কাজের প্রতি আমার একটা মোহ আছে । এই কাজকে আমি সাধনা মনে করি ।
তবে এখন বয়সের জন্য বরাত নেওয়া কমিয়েছে মোহন বাবু । তবুও যে কটি বাড়িতে প্রতিমার অলঙ্কার সাজান তা নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট। শুধু আর্থিক অবস্থা একটু ভালো হলেই আর কিছুই চাননা মোহন বাবু ।
Banowarilal Chowdhary