বিলুপ্ত প্রায় গ্রাম বাংলার পুতুল নাচ তবে রাজ্য সরকারের কারণে মুখে হাসি শিল্পীদের, তাই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শিল্পকে এখনও পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়ার সোনামুখি রামপুর গ্রামের শিল্পীরা। আগেকার দিনে বাঁকুড়ার গ্রাম বাংলার মানুষ পুতুল নাচের কথা শুনলেই রেডি সেডি হয়ে সেই মঞ্চের সামনে বা সেই স্থানে একেবারে হাজির হতেন। তবে এখন সেটা আর দেখা যায় না। কোনও রকম সরকারের সহযোগিতায় শিল্পীরা টিকিয়ে রেখেছে এই পুতুল নাচকে।
advertisement
আগে পুতুল নাচ দেখিয়ে বেশ ভাল ছিলেন শিল্পীরা। তবে অবস্থা এমনই হয়ে পড়ে যে হঠাৎ বন্ধ করে দিতে হয় তাদের এই শিল্পকে। তখন গ্রাম বাংলার মানুষের বাড়িতে স্মার্টফোন বা টিভি থাকেনি তাই তখনকার আমলে গ্রামে দুই এক দিন ছাড়া ছাড়া বা সপ্তাহে একবার করে বড় টিভি লাগিয়ে সিনেমা দেখা হত! আর এতেই ভাটা পড়েছিল পুতুল নাচে। বাধ্য হয়ে ২০০০ সালে শিল্পীদের বন্ধ করে দিতে হয় নাচ। তবে সরকার বদলের পর মুখে হাসি ফুটেছে বাঁকুড়ার এই পুতুল নাচ দেখান শিল্পীদের। মনে জোর পেয়েছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আগের তুলনায় এখন সেই হারে তারা ডাক পায় না। আগের মত আর সেই চাহিদা নেই পুতুল নাচের। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শিল্পকে এখনও পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছেন দেবী প্রসাদ সিংহের মত শিল্পীরা। এখন আর এই প্রজন্মের কেউ আসতেও চাইছে না এই প্রফেশনে । কেউ শিখতেও চাইছে না এই পুতুল নাচ দেখান। তাই হয়ত বিলুপ্ত হতে চলেছে পুতুল নাচ!
অনিকেত বাউরী