সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে ভুট্টা বিক্রেতার ভূমিকায় নামতে হয়েছে তাকে। তার বয়সী আর পাঁচটা ছেলে যখন শহরের ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান দাপিয়ে বেড়ায় তখন সে বিক্রি করে ভুট্টা, আর মনে মনে বলতে থাকে, কিছু করতে হবে কিছু করতে হবে। সেই তাগিদ থেকেই সে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দিঘায় বেড়াতে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু এক ব্যক্তির ! ধন্দে মানুষ ! বাড়ছে আতঙ্ক !
advertisement
শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্যও কাজ করতে হবে। তাই বড় হয়ে সেনা বাহিনীতে যোগদানের স্বপ্ন দেখে চলেছে প্রেম হালদার। তার এই স্বপ্নের অংশীদার তার বাবা মাও। সন্তানের স্বপ্নকে সাকার করতে বাবা মা সাহায্য চেয়ে হাত বাড়ান রাষ্ট্রের কাছে। মলিন মুখে দাবি করেন পরবর্তী পড়াশোনার জন্য একটু আর্থিক সাহায্য। আশা রাখেন সরকারি সাহায্যের। সকলেই চাইছেন এই অসম জীবন যুদ্ধে জয়ী হোক প্রেম হালদার। যদিও বাপুজী পাঠাগার হাইস্কুলের হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্র প্রেম হালদার পড়াশুনোয় ভালো, এবং ভালো ফল করবে আশাবাদী স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও। মা লক্ষ্মী হালদার তিনি জানান, "আমরা দারিদ্রতার সাথে লড়াই করছি। একসাথে আমরা ব্যাবসা করি। আমার ছেলের স্বপ্ন সেনা বাহিনীতে যোগদান করবে। তার স্বপ্ন পূরণ হোক চাইছি আমরাও।" শুধু প্রেমের পরিবার নয়, এলাকার লোকজনও চান প্রেমের পড়াশুনোটা যেন চলে। দেখা যাক ভবিষ্যৎ তাকে কোন দিকে নিয়ে যায়। তবে প্রেমের এই অদম্য চেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।
Koushik Adhikary