আলু ছাড়া বাঙালির রান্না অসম্পূর্ণ। ঝালে ঝোলে সবেতেই আলু খুব দরকার। কিন্তু তার জন্য তো চাষিদের সেই আলু ফলানোটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর আলু চাষের কথা উঠলেই যে কথা বলতেই হয় তা হল আলু বীজ। এই বীজ আলু কেটে জমিতে লাগালে তবেই আলু ফলে। প্রতি বছরই বীজ আলু নিয়ে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় আলু চাষিদের। জ্যোতি, চন্দ্রমুখি হোক বা পোখরাজ নানান বীজ পাওয়া যায় কিন্তু দাম নিয়ে টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হয় চাষিদের।
advertisement
কিন্তু এইবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার হাটে চলে এল নতুন আলুবীজ। চন্দ্রকোনা রোড রেলগেটের পূর্বপ্রান্তে বসেছে আলু বীজের হাট। পঞ্জাবের প্রসিদ্ধ আলুবীজ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এনে এখানে ব্যবসা করছেন। চাষিরা এখান থেকে আলু বীজ কেনেন তারপর সেই আলু বীজ জমিতে লাগান।
গত বছরের তুলনায় এ বছর আলু বীজের দাম তুলনামূলক কম রয়েছে তাই চাষিরা সেই বীজ কিনে সহজেই চাষ করে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, অতিরিক্ত লাভ না হলেও লাভজনক দেখা দিয়েছে এই ব্যবসা দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলবে। সিজিন চলে গেলেই বন্ধ হয় যাবে। আর এই আলু বীজের জন্য এখন প্রতিদিনই যেন মেলা বসেছে চন্দ্রকোনা রোডে। তবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অমিয় কোলে বলেন, এ বছর ব্যবসায়িরাও যেমন লাভের মুখ দেখতে পাবেন, সেই রকম চাষিরাও উপকৃত হবে। তারাও এই চাষ করে লাভ করতে পারবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এখন দেখার এই পঞ্জাবী আলু বীজ থেকে কেমন ফলন হয় আলু চাষে। চাষ প্রধান এলাকায় ধানে যেমন প্রধান লাভ, ঠিক তেমনই আলু চাষের উপরও বেশ খানিকটা অর্থনৈতিক পরিকাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলন যদি ভাল হয় সেক্ষেত্রে কৃষকরা লভ্যাংশ ঘরে তুলতে পারবে। আর ব্যবসায়ীরা তো এখনই লাভবান হচ্ছেন।





